রোজা আসছে- আতঙ্ক বাড়ছে মধ্যবিত্তের। বরাবরের মতোই কি রোজায় তাদের প্রাণান্ত লড়াই চলবে-দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে? বিশেষ করে তেল, চিনি, সবজির মূল্য মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে যাওয়ার উদাহরণ নতুন করে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আর এবারতো রমজানের বহু আগেই বেশ কিছু পণ্যের মূল্য মানুষের ক্রয়সীমার বাইরেই আছে। সবজির মৌসুমে বাজার দর কিছুটা স্থিতিশীল থাকার পরও অযৌক্তিকভাবে পেঁয়াজ সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে।
নতুন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এই উচ্চমূল্যকে মন্ত্রণালয়ের উত্তরাধিকার হিসেবে পেয়েছেন। তার সৌভাগ্য, তিনি চেয়ারে বসাকালে শুরু হয়েছে সবজির মৌসুম। তরকারি বাজারের হা হুতাসের ভাগ তাকে তেমন একটা পেতে হচ্ছে না। কিন্তু রোজা আসছে, নিন্ম ও মধ্যবিত্তের জীবনে আতঙ্ক হিসেবে। আর সেই সময় যদি বাজারে আগের মতো আগুন ছড়ায়, তাহলে এই মুহূর্তে মানুষ নতুন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে যা প্রত্যাশা করছেন তার বিপরীতটাই হয়ে পড়বে।
আশার কথা, বাজার ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনার কথা বলেছেন নতুন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। পেশাগত কারণে প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের আন্তরিকতা,পরিশ্রমী ও গতিশীলতা সম্পর্কে জানার সুযোগ হয়েছে আমার। তিনি নিজে একজন ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে ব্যবসায়ের ফাঁকফোকরগুলো জানেন অন্যদের তুলনায় বেশি। সেই সুবাদেই তিনি বাজার ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন হয়তো।
বাংলাদেশে সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনার ত্রুটির কারণে মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়ে বাজার। যার কুফল ভোগ করতে হয় সাধারণ মানুষকে। বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই চালু আছে। মধ্যস্বত্বভোগীরা শুধু বাজারের ক্ষতি করে এটাও নয়, বাজার ব্যবস্থাপনা এমনই ধাঁচে তৈরি যেখানে তাদের অনুপস্থিতিতে পণ্য বিপণন স্থবিরও হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যস্বত্বভোগীদের কর্তৃত্বকে বাতিল করার মতো সক্ষমতা আছে বলে মনে করি না।