প্রতারকের টোপে পড়ে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন তরুণ-তরুণীরা

যুগান্তর প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৮

ঘরে বসে মোটা অঙ্কের টাকা আয়ের লোভ দেখিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের নামে তরুণ-তরুণীদের অর্থকড়ি হাতিয়ে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র। লাভের টোপে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন তারা। তবে লোকলজ্জা এবং বাড়তি ঝামেলার ভয়ে আইনি প্রতিকার চাইতে যান না অনেকেই।


বিশ্লেষকরা বলছেন, সাইবার প্রতারকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। যেন প্রতি এক গজ দূরে দাঁড়িয়ে আছে একেকজন সাইবার প্রতারক। হাতে থাকা একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, একটি ল্যাপটপ কিংবা একটি কম্পিউটারই হয়ে উঠে সাইবার প্রতারকদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আর ভুক্তভোগীরা অভিযোগ না করায় এই প্রতারকদের সংখ্যাও দিন দিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।


অনুসন্ধানে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ আয়ের লোভনীয় অফার দেয়। এসব বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে যোগাযোগ করেন তরুণ-তরুণীরা। এরপর প্রতারকচক্র প্রথমে তাদের কাজের বিনিময়ে কিছু অর্থ পেমেন্টও করে। একপর্যায়ে বিশ্বস্ততা অর্জন করে তারা তরুণ-তরুণীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এই ধরনের প্রতারণার শিকার হয়ে সম্প্রতি রামপুরা থানায় মামলা করেন আরাফাত হোসেন নামে এক তরুণ। তিনি জানান, ঘরে বসে সহজ পন্থায় আউটসোর্সিং করে প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা আয় করার বিজ্ঞাপন দেখেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। বিজ্ঞাপনে দেওয়া নাম্বারে হোয়াটসঅ্যাপে তিনি যোগাযোগ করেন। এরপর তাকে প্রথমে গুগল ম্যাপ রিভিউ এবং অনলাইন ভোটিং সিস্টেম আপগ্রেডেশন এর মতো সহজ কাজ দেওয়া হয়। ওই কাজগুলো করার পর প্রতারকরা তাকে বিকাশের মাধ্যমে ৪৫০ টাকা পরিশোধ করে। এতে আরাফাত হোসেনের বিশ্বাস বেড়ে যায়। এরপর তারা আরাফাতকে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত করে। তাকে জানানো হয়, ২০০০ টাকা ইনভেস্ট করলে ২৮০০ টাকা লভ্যাংশ পাওয়া যাবে। এরপর গত বছরের ২৯ অক্টোবর আরাফাত ২০০০ টাকা তাদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে পাঠান। বিনিময়ে তাকে লভ্যাংশ হিসাবে ২৮০০ টাকা দেওয়া হয়। এতে লোভে পড়ে যান আরাফাত। তার কাছ থেকে দুই ধাপে ২৩ হাজার টাকা নেয় প্রতারকরা। ওই টাকার লভ্যাংশ চাইলে তাকে আরও ৩৬ হাজার টাকা পাঠাতে বলা হয়। ৩৬ হাজার টাকা পাঠানোর পর ওই টাকার লাভের অংশ পাঠানো হয়। এমন অভিনব কৌশলে আরাফাত হোসেনের কাছ থেকে ১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় প্রতারকচক্র। এই ঘটনায় আরাফাত রামপুরা থানায় একটি অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের সূত্র ধরে তদন্তে নেমে পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট-এটিইউর সাইবার ক্রাইম উইংয়ের সদস্যরা নিশ্চিত হন, চক্রের মূল হোতা হিমেল ও মোশাররফ। ১৪ জানুয়ারি এটিইউর সাইবার ক্রাইম উইং মোশাররফকে গ্রেফতার করে। তবে হিমেল ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। শুধু একটি ঘটনাই নয়, জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক মোশাররফ জানিয়েছে, সে এ ধরনের অসংখ্য প্রতারণা করেছে। তরুণ-তরুণীদের লাভের প্রলোভন দিয়ে সে অন্তত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us