পরিবেশের বারোটা বাজার পেছনে বড় একটি কারণ হচ্ছে আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়া। পাহাড় কাটলে যে জেল-জরিমানা দেওয়া হয়, তা অনেকটা গুরু পাপে লঘুদণ্ডের মতোই মনে হয়। অথচ পাহাড়টি হারিয়ে যায়। অবৈধভাবে বালু তুললে বা মাটি কাটলে যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়।
বলা হয়ে থাকে দু-এক দিনের তোলা বালু বা মাটি বিক্রি করেই সেই যন্ত্রপাতির ক্ষতি উশুল হয়ে যায়। অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া বা জরিমানা করা হলেও অনেক সময় মালিকদের ধরা হয় না। ভোলার চরফ্যাশনেও এমন একটি চিত্র দেখা যাচ্ছে। সেখানে চরমভাবে আইন লঙ্ঘন করেও এক যুবলীগ নেতা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছেন।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, যুবলীগের ওই নেতার নাম মো. নুর ইসলাম। তিনি চরফ্যাশনের আসলামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বন বিভাগের গাছ কেটে ও সরকারি খাল ভরাট করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জমিতে ইটভাটা নির্মাণ করছেন। প্রশাসন ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা একটি খননযন্ত্র জব্দ করে কাজ বন্ধ করে দিলেও ভাটা নির্মাণের তৎপরতা বন্ধ হয়নি।