তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন চীনবিরোধী ও দ্বীপটির স্বাধীনতাকামী নেতা লাই চিং-তে। বেইজিংয়ের চাপ মোকাবিলায় তার প্রধান ভরসা যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের স্বাধীনতা সমর্থন করে না।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসন, প্রার্থী, ফলাফল ও সব খবর এখানে।
লাইকে নির্বাচিত না করতে ভোটের আগেই তাইওয়ানিজ ভোটারদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চীন। এই নির্বাচনকে ‘যুদ্ধ ও শান্তি’র মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নেওয়া হিসেবে উল্লেখ করেছিল বেইজিং। কিন্তু ফলাফলে দেখা গেছে, তাইওয়ানের ভোটাররা চীনের সেই হুঁশিয়ারিকে পাত্তা দেননি। দ্বীপটির বর্তমান ভাইস-প্রেসিডেন্ট লাইকেই ভোট দিয়েছেন তারা।
শনিবারের (১৩ জানুয়ারি) এই নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় বসতে চলেছে লাইয়ের ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি)। স্বাধীনতাকামী এ নেতা চীনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার পাশাপাশি শান্তিরক্ষায় আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে তার আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বেইজিং।
এ অবস্থায় তাইওয়ানের নির্বাচন ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বাইডেন বলেছেন, আমরা (তাইওয়ানের) স্বাধীনতাকে সমর্থন করি না।
ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ওয়াশিংটন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, তাইওয়ানের নির্বাচনে ‘কোনো দেশের’ হস্তক্ষেপই গ্রহণযোগ্য হবে না। স্বাভাবিকভাবেই, এখানে ‘কোনো দেশ’ বলতে চীনের দিকেই ইঙ্গিত করেছিল বাইডেন প্রশাসন।