চীনের প্রভাব বলয়ে নয় বরং তাইওয়ানের বাসিন্দারা নিজেদের স্বাধীনতা চান। তাইতো শনিবারের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টারি নির্বাচনের ভোটে স্বাধীনতার পক্ষে শক্ত অবস্থানে থাকা ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী লাই চিং-তে কে তারা বেছে নিয়েছেন।
গত আট বছর ধরে তাইওয়ানের ক্ষমতায় রয়েছে ডিপিপি। তাইওয়ানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডিপিপি-র সাই ইং ওয়েন। কিন্তু তিনি পরপর দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় সংবিধান অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেননি।
তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও চীন সেটা মানে না। বরং তাইওয়ানকে তারা নিজেদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অংশ মনে করে, যারা একদিন পুনরায় একত্রিত হবে। এজন্য প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের হুমকিও দিয়ে রেখেছে চীন।
ডিপিপি তাইওয়ানের পৃথক পরিচয়ের পক্ষে আর তারা দ্বীপটির উপর চীনের মালিকানার দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে। এবারের নির্বাচনী ইশতেহারেও এটাই ছিল দলটির মূল বক্তব্য। এ অবস্থানের উপর ভিত্তি করেই তারা নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছে।
এবারের নির্বাচনে চীন বেশ জোরেশোরেই ডিপিপির বিপক্ষে প্রচার চালিয়েছে। এমনকি প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে বেইজিং তাইওয়ানের ভোটারদের এটাও বলেছে, তারা যেনো ‘যুদ্ধ ও শান্তির মধ্যে একটিকে বেছে নেয়’।
বহুদিন ধরে কর্তৃত্ববাদী শাসন ও সামরিক আইন চলার পর ১৯৯৬ সাল থেকে তাইওয়ানে সরাসরি নির্বাচনের মধ্যমে প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তারপর থেকে তাইওয়ানে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত আছে।
এবারের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয় শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায়। তারপর শুরু হয় ভোট গণনার কাজ। এবার লাইয়ের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তাইওয়ানের প্রধান বিরোধীদল কুয়োমিনটাং (কেএমটি) এর প্রার্থী হু যু-ই, অপরজন অপেক্ষাকৃত নবীন দল তাইওয়ান পিপলস পার্টির (টিপিপি) প্রার্থী রাজধানী তাইপের সাবেক মেয়র কো ওয়েন-জে। দলটি ২০১৯ সালে গঠিত হয়।