বাইরের দেশে সারাবছর পাওয়া গেলেও, বাংলাদেশে কেবল শীতের শুরুর দিকে পাওয়া যায় সর্ষে শাক। এই শাকের স্বাদ কিছুটা তেঁতো হওয়ায়, অন্য শাকের মতো রান্না করলে স্বাদ ভালো লাগে না। চলুন শিখে নেওয়া যাক, মজাদার পদ্ধতিতে সর্ষে শাক রান্না করবেন যেভাবে-
উপকরণ:
১. সর্ষে শাক- ২ আঁটি
২. সর্ষের তেল - ২ টেবিল চামচ
৩.শুকনো মরিচ - ১ টি
৪. সর্ষে বাটা - ১ চা চামচ
৫. ধনে পাতা কুচি- অল্প
৬. চিনি - ১ চিমটি
৭. হলুদ গুড়া - ১/২ চা চামচ
৮. লবণ - প্রয়োজনমতো
৯. জিরা বাটা - ১ চা চামচ
১০. লেবুর রস - ১ টেবিল চামচ
১১. পেঁয়াজ কুচি - ১/৪ কাপ
১২. রসুন কুচি - ১ চা চামচ
১৩. টমেটো কুচি - ১ কাপ
১৪. কাঁচা মরিচ - ২টি
১৫. হলুদ-মরিচ মাখানো পাবদা মাছ (অথবা কাটা কম আছে এমন মাছ)
করণীয়:
১. ডাটা থেকে পাতাগুলোকে আলাদা করে নিতে হবে। ধুয়ে পরিষ্কার করে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর কুচি কুচি করে কেটে নিবেন।
২. ফ্রাইয়িং প্যানে সরিষার তেল গরম করে নিন। সেখানে মাছ হালকা ভেজে নিতে হবে। একটি পাত্রে ভাজা মাছগুলো তুলে রাখুন। কাটা থেকে মাছ আলাদা করে নিতে হবে।
৩. মিডিয়াম টু হাই হিটে তেল গরম করে নিন। একটা শুকনো মরিচ ভাজুন। তাতে রসুন, পেঁয়াজ ভেজে নিন। অল্প ভাজা হলে টমেটো কুচি দিয়ে দিন।
৪. টমেটোর পরিবর্তে চাইলে মুগডাল, বেগুন বা অন্য কোনো সবজি ব্যবহার করতে পারেন। এটি ধাপটি মূলত শাকের তেঁতো ভাব কাটানোর জন্য করা হয়।
৫. এরপর জিরা বাটা, সর্ষে বাটা এবং অল্প হলুদ গুড়ো দিয়ে ভাজা ভাজা করে নিন।
৬. ভাজা হয়ে গেলে শাক গুলো মশলার মাঝে দিয়ে দিন। অল্প অল্প করে শাক দিতে থাকবেন। এতে পানি ছেড়ে দিয়ে শাকগুলো চুপসে আসবে। অনেকগুলো শাক তখন পরিমাণে অল্প হয়ে যাবে। পানি ছাড়তে শুরু করলে, ঢাকনা দিয়ে ঢেকে পানি টানিয়ে নিয়ে সিদ্ধ হতে দিন। এভাবে ভাজা করতে করতে পানি টেনে আসবে।
৭. এই পর্যায়ে পরিমাণ অনুযায়ী লবণ যোগ করুন। (প্রথমেই লবণ দেওয়া উচিত নয়। তখন শাকের পরিমাণ দেখে আন্দাজ করা যায় না)। কাঁচা মরিচ কুচি ছড়িয়ে দিন।
৮. এরপর ভেজে রাখা মাছগুলো শাকের মধ্যে দিয়ে মিশিয়ে নিন।
৯. শাক ভাজা হয়ে এলে তাতে ধনে পাতা ও সামান্য চিনি দিন। (চিনি যোগ করলে শাকের রঙ নষ্ট হয় না।)
১০. ভাজা হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে, শাক স্বাভাবিক হওয়ার জন্য রাখুন। ৩-৪ মিনিট পর চুলার তাপটা ছেড়ে গেলে লেবুর রস ঢেলে দিন। উল্টে পাল্টে ভালো করে পুরো শাকের সাথে মিশেয়ে নিন।
এভাবেই উপভোগ করতে পারবেন মজাদার সর্ষে শাক।