দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, অতঃপর

আজকের পত্রিকা অরুণ কর্মকার প্রকাশিত: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৬

আজকের রাতটা পোহালেই আগামীকাল ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় পাঁচ বছর পর পর এ ধরনের জাতীয় নির্বাচন জাতির সামনে খুলে দেয় নতুন কিছু সম্ভাবনার দুয়ার। নতুন সরকার গঠিত হয়। নতুন উদ্যমে শুরু হয় একটি দেশের অগ্রযাত্রা। এগুলো আদর্শ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অন্তর্নিহিত কথা। কিন্তু তেমন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অবশ্য বর্তমান পৃথিবীতে বিরল বিষয় হয়ে উঠছে। তবে এখনো তা একেবারে বিলুপ্ত কিংবা বিস্মৃতির বিষয় হয়ে যায়নি। আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা খুব একটা উন্নত স্তরে পৌঁছাতে পারেনি। আমরা এখনো সীমিত গণতন্ত্রের ধারণার মধ্যে আছি। তাই এবারও যে স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবং যথার্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তা জোর দিয়ে বলা যায় না।


এরপরও ত্রুটিপূর্ণ হলেও দেশে এখনো নির্বাচন হয়। একসময়কার গাজোয়ারি রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আজকের এই পর্যায়ে পৌঁছাতেও কম কাঠ-খড় পোড়াতে হয়নি আমাদের। এবারও অনেক অনিশ্চয়তা অতিক্রম করে, বহুবিধ সমস্যা মোকাবিলা করে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি অংশ না নেওয়ায় নিঃসন্দেহে এই নির্বাচনে একটি বড় ঘাটতি থেকে যাবে। আর বিএনপি যে শুধু নির্বাচনে অংশ নেয়নি তা তো নয়, জামায়াতে ইসলামী এবং অন্যান্য সমমনা রাজনৈতিক মিত্রসহ তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এবং বর্তমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন প্রতিহত করতে আন্দোলনও চালিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সরকারকে সার্বিকভাবে অসহযোগিতা করা এবং নির্বাচন বর্জন করার জন্য জনগণের প্রতি তারা আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছে। আগামীকাল নির্বাচনের দিনও একইভাবে আহ্বান জানিয়ে যাবে। এমনকি নির্বাচনের পরও আন্দোলনের এই ধারা অব্যাহত রাখতে তারা বদ্ধপরিকর।


অন্যদিকে সরকার বিএনপি এবং তার মিত্রদের এসব দাবি এক রকম উপেক্ষা করেই সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচন অনুষ্ঠানের সার্বিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ফেলেছে। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই বলেই মনে হয়। আগামীকাল দ্বাদশ সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েই যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, নির্বাচনের পর পরিস্থিতি কী হবে? অনেকের ধারণা, সরকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রেখে যেভাবে নির্বাচন করছে, তেমনি নির্বাচনের পরও সবকিছু সরকারের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। নতুন সরকার উত্তরোত্তর পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হবে। তবে কথা হলো, বছর দুয়েক ধরে আমাদের দেশের অর্থনীতিতে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকটে বিএনপি ও সমমনাদের আন্দোলনের চাপে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে সেই সংকট নিরসনে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি করবে কি না? দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক ধারার মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা বৈরিতা যদি অব্যাহতই থাকে, তাহলে এর পরিণামই বা কী হতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us