নির্বাচনের পর বিএনপি কী করবে

আজকের পত্রিকা অরুণ কর্মকার প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:২৮

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি কার্যত ওয়াকওভারই দিয়ে দিল! প্রথম শুরু করল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার দাবিতে আন্দোলন দিয়ে। সেই আন্দোলন পৌঁছাল সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে। তারপর যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলো, তখন বিএনপি এবং তাদের সমমনা দলগুলো ঘোষণা করল নির্বাচন প্রতিহত করার কথা। নির্বাচন হতে না দেওয়ার কথা।


এই ঘোষণা মাত্র দুই-একবারই উচ্চারণ করেছিল তারা। যদিও আন্দোলনের কোনো কর্মসূচিই এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ফল বয়ে আনেনি। অথচ নির্বাচনী প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এ অবস্থায় বিএনপি ভাবছে, যদি নির্বাচন হয়েও যায় তাহলে নির্বাচনের পরও আন্দোলনের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা। তার মানে নির্বাচন হয়ে যাওয়া পর্যন্তও তারা মেনে নিচ্ছে বা একধরনের ওয়াকওভার দিচ্ছে।


প্রথম কথা হলো, নির্বাচন হয়ে যাওয়া নিয়ে এখন আর কিছু করার আছে বলে মনে হয় না। কোনো কর্মসূচিই এখন আর নির্বাচন প্রতিহত করতে পারবে বলে সরকারবিরোধী অতি বড় আশাবাদীরাও মনে করেন না। নির্বাচন হয়ে যাওয়ার মতো সব আয়োজন যথাযথভাবেই চলমান রয়েছে। তবে মাঝেমধ্যে বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের কাছে এখনো কিছু তারিখের কথা শোনা যায়।


আন্দোলনের শুরু থেকেই এ রকম শুনে আসছি। সর্বশেষ শুনেছি, ২৮ ডিসেম্বরের কথা। সেদিন নাকি কী একটা হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এর আগে ২৫ ডিসেম্বরের কথাও শুনেছিলাম। এসব তারিখ নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বেশ আশাবাদী এবং উচ্ছ্বসিতও হতে দেখেছি। জানি না নির্বাচনের আগে এ রকম আরও কোনো তারিখের কথা শুনব কি না। এটাও বুঝি না যে কার কাছ থেকে কী শুনে এবং কিসের ভিত্তিতে তাঁরা এগুলো নিয়ে মাতামাতি করেন!


দ্বিতীয় কথা হলো, নির্বাচনের পরেও আন্দোলন অব্যাহত রাখা। সে তো রাখাই যায়। কিন্তু প্রায় এক বছর ধরে যেভাবে আন্দোলন কর্মসূচি চলে এসেছে, নির্বাচনের পরেও যদি সেভাবেই চলতে থাকে তাতে তো বিশেষ কিছু ফল হবে বলে মনে হয় না। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে প্রত্যাহার করা হয়নি। আর তা অব্যাহত রয়েছে বলে বিএনপির রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কিছুটা বিদ্রূপ করেই বলে থাকে, এবারের নির্বাচন-পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচিও যদি সেভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে যায়, তাহলে কী হবে? সরকার নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করতে পারে, তাহলে সেই কর্মসূচি তো কোনো অর্থ বহন করবে না। আর যদি নির্বাচনের পরে বিএনপির আন্দোলন ডালপালা ছড়িয়ে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে, সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারে। তবে তেমন সম্ভাবনা অন্তত আজকের অবস্থায় দাঁড়িয়ে দেখা যাচ্ছে না।


তাহলে বিএনপির কী হবে? কী করবে বিএনপি? বিএনপির কী হবে, সে কথা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু তারা কী করবে, সেই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়, আপাতত ‘মার্ক টাইম’ করা ছাড়া তাদের আর কিছু করার সামর্থ্য নেই; অর্থাৎ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে লেফট-রাইট করতে থাকা ছাড়া। যদি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে সক্ষম হয়, পেছনে সরে যেতে না হয়, সেটাও হবে তাদের জন্য মন্দের ভালো। তবে নির্বাচনের পরে বিএনপি যেমন আন্দোলন অব্যাহত রাখার চ্যালেঞ্জ ঘোষণার কথা ভাবছে, তেমনি সরকারও কিছু পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিয়ে অগ্রসর হবে। সেটাকে মোকাবিলা করেই বিএনপিকে তার অবস্থান ধরে রাখতে হবে। তারপর ভাবতে হবে অগ্রসর হওয়ার পন্থা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us