একসময় পাহাড়ে শুধু বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার নারী কর্মীরাই স্কুটি চালাতেন। তা–ও হাতে গোনা কয়েকজন। সময় বদলেছে। কেটেছে জড়তা। এখন পাহাড়ে নারী–পুরুষ কর্মজীবী–শিক্ষার্থীনির্বিশেষে স্কুটার ব্যবহার করছেন। যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হিসেবে বেড়েই চলেছে স্কুটারের জনপ্রিয়তা। অর্থ ও সময় সাশ্রয়ের বিষয়টি তো আছেই। কর্মজীবী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুটি এখন বিলাসিতা নয়, প্রয়োজন।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের চিকিত্সক রাজর্ষী চাকমার একসময় শখ ছিল স্কুটি চালানোর। প্রতিদিন তাঁকে সন্তানের স্কুল থেকে শুরু করে হাসপাতাল, চেম্বারসহ বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে যেতে হয়। তিনি যে এলাকায় থাকেন, সেখানে সব সময় টমটম বা রিকশা পাওয়া যায় না। বাস্তবতা ও সময়ের কথা চিন্তা করে ১০ বছর আগে স্কুটি কিনেছিলেন। চালানো শিখেছিলেন তিন দিনে। এর পর থেকে স্কুটিই তাঁর চলার নিত্যসঙ্গী।