দুদিন আগের ঘটনা। ব্যাংকে গিয়েছি, হাতে টাকা নেই, কিছু টাকা তুলব বলে। সরাসরি ম্যানেজার সাহেবের চেম্বারে-আজকাল যাদের নাম ‘রিলেশনশিপ ম্যানেজার’-একটু বসলাম। শরীর ভালো নয়। ম্যানেজার সাহেব কফি অফার করলেন। আমি কফি খেতে খেতে গ্রাহকের নানা সমস্যার কথা শুনছিলাম। কত সমস্যা মানুষের, ভাবা যায় না। ব্যাংক আজকাল টাকা তোলা ও জমার সময় নানা ঝামেলা করে। এসব নিয়েই দেখলাম বেশি বেশি কথা-বোঝানো, যুক্তি দেওয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের অজুহাত দেওয়া ইত্যাদি।
যেমন একজনের সমস্যা-দুই লাখ টাকার চেক দিয়েছে; ব্যাংক থেকে ‘ড্রয়ার’ অর্থাৎ ‘চেক’ যে দিয়েছে তার কাছে ফোন : আপনি কি ‘চেক’ কেটেছেন? ‘ইয়েস’ হলে ‘পেমেন্ট’, নতুবা নয়। ‘বিয়ারার চেকে’র ক্ষেত্রে এ নিয়ম কেন-প্রশ্নের পর প্রশ্ন গ্রাহকের। কেন এত হুজ্জুতি! মানি লন্ডারিংয়ের ভয়? ভুল হাতে ‘পেমেন্ট’ যাওয়ার ভয়? হয়তো তা-ই। কিন্তু গ্রাহক তা মানতে রাজি নন। গ্রাহক বলছেন, অযথা ‘কোয়েরি’, সময় নষ্ট। কত টাকা কত ব্যাংক থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে তার হিসাব নেই। ব্যাংক ব্যস্ত দুই লাখ টাকা নিয়ে। নাছোড়বান্দা ম্যানেজার। উপায় নেই, বিধি মানতে হবে। বিধি না মানলে ‘অডিট’ ধরবে। দুর্দিনে চাকরির কোনো অসুবিধা হলে বাঁচার পথ নেই।