মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যে মুহূর্তে দেশটির দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য লড়াই চালাচ্ছে, সে মুহূর্তে সেখানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধরত কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) এবং পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেসের (পিডিএফএস) যৌথ বাহিনী ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তন করছে।
দেশটির জান্তা সরকারের দমন–পীড়ন ও চিরকাল ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার চেষ্টার ফল হিসেবে সাধারণ মানুষ ফুঁসে উঠেছে এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে পক্ষ ত্যাগের প্রবণতা বেড়েছে। এতে দেশটির সীমান্তবর্তী এলাকায় সশস্ত্র বিদ্রোহীরা শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। বর্তমানে মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকা এখন জান্তা সরকারের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে এবং সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাল্টা হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে।
এর ফলে জান্তা ক্রমবর্ধমানভাবে বিকারগ্রস্ত ও মরিয়া হয়ে উঠছে এবং তারা প্রচলিত যেসব সামরিক উপায়ে দমনাভিযান চালিয়ে থাকে, সেই কায়দায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর পীড়ন ও নির্যাতন বাড়িয়ে দিয়েছে।