আন্তর্জাতিক রাজনীতির ঘাত-প্রতিঘাতের সিঁড়ি বেয়ে মধ্যপ্রাচ্য আজ এক চরম সংকটে নিপতিত। সেখানকার হাওয়া আজ ভীষণ উত্তপ্ত। মানবাধিকার সেখানে আজ চরমভাবে পদদলিত। মধ্যপ্রাচ্যের ফিলিস্তিনে আজ চলছে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন যুদ্ধ। এশিয়ায় বর্ণবাদী ও শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের সর্বশেষ উপনিবেশ সামরিক শক্তিতে বলীয়ান ইসরাইল রাষ্ট্রের সঙ্গে ফিলিস্তিনি হামাসের এ অসম যুদ্ধে গাজা আজ ম্যাসাকার।
ইসরাইল খুব ঠান্ডা মাথায় অমানবিক জুলুম-নির্যাতন ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে এ ফিলিস্তিনে। তাদের হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না দেশটির নারী-শিশু-এমনকি হাসপাতালের রোগীরা পর্যন্ত। ইসরাইল হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ, জনবসতি-কিছুই বাদ রাখছে না হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ থেকে। আল আকসা মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়ে তারা সেখানে ইহুদি উপাসনালয় স্থাপনের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। পরিকল্পনা করেছে, গাজায় তাদের চলতি সামরিক অভিযান শেষ হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজায় সামরিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে। অর্থাৎ তারাই হবে ওই অঞ্চলের মালিক। বাগে আনতে পারলে তারা গাজাকে তিন ভাগে ভাগ করে নেবে। নতুন ইহুদি বসতি গড়বে। তারা গাজার ২৩ লাখ মানুষকে সিনাই উপদ্বীপে পাঠাতে চায়। এসবই তাদের পরিকল্পনা। এসব চাপে ও ধ্বংসলীলায় ফিস্তিনিরা যে আজ কী মারাত্মক ট্রমা বা মানসিক আতঙ্ক ও যন্ত্রণায় আছে, তা ভাবলেই শিউরে উঠতে হয়! ফিলিস্তিনকে নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে আজ এই যে জ্বলন্ত আগুনের লেলিহান শিখা, এজন্য তো দায়ী সাম্রাজ্যবাদের অবৈধ সন্তান মধ্যপ্রাচ্যের দুষ্ট ক্ষত ইসরাইল।