যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রম নীতি বাংলাদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতির জন্য কতটা শঙ্কার?

বিবিসি বাংলা (ইংল্যান্ড) প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:৫৯

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের মিশন থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো একটি চিঠি আলোচনায় উঠে এসেছে । শ্রম ইস্যুতে সম্ভাব্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরকারকে সতর্ক করা সেই চিঠিতে বাংলাদেশ এই শ্রমনীতির অন্যতম লক্ষ্য হতে পারে বলে বলা হয়েছে।


শ্রমিক অধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি কতটা উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য?


নভেম্বর মাসে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বাংলাদেশে যখন সপ্তাহখানেক ধরে শ্রমিক আন্দোলন চলছিলো সেরকম সময়েই যুক্তরাষ্ট্র তাদের নতুন শ্রমিক অধিকার নীতি ঘোষণা করে।


বিশ্বজুড়ে যারা শ্রমিক অধিকার হরণ করবে, শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখাবে এবং আক্রমণ করবে তাদের উপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।


বিশ্লেষকদের অনেকে আশঙ্কা করছেন, এমন ঘোষণায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিবেচনায় বাংলাদেশের জন্য বাড়তি উদ্বেগের জায়গা রয়েছে। সেটা আরো পরিষ্কার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের মিশন থেকে দূতাবাসের মিনিস্টার মো. সেলিম রেজার সই করা একটা চিঠির মধ্য দিয়ে।


বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলিতে ব্যাপকভাবে আলোচিত ওই চিঠিটির একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল রাজনৈতিক প্রসঙ্গ। সেখানে বলা হয়েছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিবেচনায় মার্কিন এই নীতিতে বাংলাদেশের জন্য শঙ্কিত হওয়ার কারণ রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের চেষ্টা করতে পারে।


কী বলা হচ্ছে শ্রমিক অধিকার নীতিতে?


১৬ই নভেম্বর একটি স্মারকে সই করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউজ বিষয়টিকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে। সেই নীতি সব দেশের জন্য প্রযোজ্য হলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যখন এর বিস্তারিত তুলে ধরেন সেখানে উঠে এসেছিল বাংলাদেশ প্রসঙ্গ।


তিনি বলেছিলেন, “যারা হুমকি দেয়, ভয় দেখায়, যারা ইউনিয়ন নেতা, শ্রমিক অধিকার রক্ষাকারী বা শ্রমিক সংগঠনকে আক্রমণ করে তাদেরকে আমরা জবাবদিহি করবো। নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্যে শাস্তি, ভিসা নিষেধাজ্ঞার মতো যতো বিষয় রয়েছে তার সবই ব্যবহার করা হবে। আমরা কল্পনা আক্তারের মতো মানুষদের সাথে থাকতে চাই। কল্পনা আক্তার একজন বাংলাদেশি গার্মেন্টস কর্মী এবং গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার কর্মী। তিনি বলেছেন যে, তিনি জীবিত রয়েছেন কারণ মার্কিন দূতাবাস তার পক্ষে কাজ করেছে।''


হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে মূলত পাঁচটি কর্মপরিকল্পনার কথা উঠে আসে।



  • আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার রক্ষা, শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন ও সংগঠনের অধিকার নিশ্চিত করতে কূটনীতি, অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ এবং বিদেশি সহায়তা ব্যবহার করা।

  • ট্রেড ইউনিয়নের নেতা, শ্রম অধিকারের পক্ষে কাজ করা ব্যক্তি এবং শ্রমিক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে হুমকি, ভয় দেখানো এবং সহিংসতার বিষয়ে দ্রুত ও কার্যকরভাবে এগিয়ে আসা এবং তা প্রতিরোধ করা।

  • বৈশ্বিক শ্রম এজেন্ডা পরিচালনার জন্য ফেডারেল বিভাগ ও সংস্থাগুলোর সক্ষমতা আরো বাড়ানো।

  • বৈশ্বিক শ্রম মান উন্নয়ন, শ্রম সংগঠন এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকারের পক্ষে কাজ করতে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কাজ করা এবং তাদের সাথে জোট গঠন করা।

  • আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার উন্নয়নে বাণিজ্য সংক্রান্ত ও অন্যান্য উপায় বাড়ানো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us