জ্ঞান সৃষ্টি, গবেষণার উৎকর্ষ এবং উচ্চশিক্ষার সর্বোচ্চ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয় গবেষকদের পিএইচডি (ডক্টরেট অব ফিলোসফি) অভিসন্দর্ভকে। স্বাধীনতার পর দীর্ঘ তিন দশক দেশে পিএইচডিধারীর সংখ্যা ছিল বেশ কম। তবে গত দুই দশকে এ সংখ্যা বেড়েছে ব্যাপক মাত্রায়। দেশে এখন পিএইচডিধারীর সংখ্যা ৫১ হাজার ৭০৪ বলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
বয়সভিত্তিক হিসাব অনুযায়ী এসব পিএইচডিধারীর অধিকাংশই চল্লিশোর্ধ্ব—২৯ হাজার ৯৯৮ জন। ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সী আছেন ১৫ হাজার ১১৪ জন। ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সসীমার অন্তর্ভুক্ত আছেন ৫ হাজার ৮০৯ জন। আবার এ তালিকায় ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সসীমার অন্তর্ভুক্তরাও আছেন, যার সংখ্যা ৭৮৩ জন।
এর মধ্যে ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সী অন্তর্ভুক্তদের পিএইচডি অর্জনের বিষয়টি নিয়ে ভালোমতো অনুসন্ধান হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন দেশের শিক্ষা খাতসংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থীকে পিএইচডি করার যোগ্যতা অর্জন করতে হলে তাকে আগে অবশ্যই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করতে হবে। সেক্ষেত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে খুব ভালো ফল অর্জন না করতে পারলে তাকে এমফিলও করে আসতে হয়। আবার স্নাতকোত্তরের আগে স্নাতক এবং মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে আসতেও অনেক সময় প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে একজন শিক্ষার্থীর ২৫ বছর বয়সের আগে পিএইচডি অর্জন অনেক চ্যালেঞ্জিং ও কঠিন একটি বিষয়। ৩০ বছর বয়সের মধ্যে অর্জন করাও অনেক কঠিন।
তথ্য অনুযায়ী, পিএইচডিধারীদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৫১৭। নারী আছেন ১৪ হাজার ১৮৭ জন। যদিও ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সসীমার অন্তর্ভুক্তদের মধ্যে নারী পিএইচডিধারী তুলনামূলক বেশি—৪০৩ জন। পুরুষ পিএইচডিধারী আছেন ৩৮০ জন।