শীত মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনেকটা আরামদায়ক হলেও অস্বস্তি ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে। এসময় প্রকোপ বাড়ে ঠান্ডাজনিত নানান রোগের। সাইনোসাইটিস বা অ্যালার্জিজনিত কোনো অসুস্থতা থাকলে এসময় তা প্রকট আকার ধারণ করে। ফলে শীতের এ সময় নাক, কান ও গলার নানান অসুস্থতা নিয়ে আসা রোগী বাড়ে হাসপাতালে।
রাজধানীর জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউটে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসছেন। আউটডোরে মাত্র চারজন চিকিৎসক বিপুল এ সংখ্যক রোগীর সেবা দিচ্ছেন। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই পাঁচ ঘণ্টায় এত রোগী মাত্র চারজন চিকিৎসক সেবা দিয়ে থাকেন। ফলে দেখা যাচ্ছে একজন চিকিৎসক একজন রোগী দেখতে সময় পাচ্ছেন এক থেকে দেড় মিনিট। এছাড়া বিশেষায়িত এই হাসপাতালে রয়েছে শয্যা সংকট। ফলে জটিল রোগের চিকিৎসা বা অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে রোগীদের দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়।
গত মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৮টা থেকেই রোগীদের ভিড়। হাসপাতালের প্রধান ফটকের বাম পাশে থাকা টিকিট কাউন্টারে রোগী বা রোগীর স্বজনরা টিকিট নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। এর পাশেই চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে থাকা আসনগুলোতে গাদাগাদি করে বসে ছিলেন অনেক রোগী। আবার অনেকেই বসার আসন না পেয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন।
চিকিৎসকরা জানান, দেশের বিশাল জনসংখ্যার নাক, কান ও গলার চিকিৎসায় এই একটিমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতাল। তবে এত বিশাল জনসংখ্যার বিপরীতে এখানে শয্যা সংখ্যা মাত্র ১৩৫টি, যা নিতান্তই অপ্রতুল।