আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করব

আজকের পত্রিকা মোনায়েম সরকার প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ১০:০৯

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি, জামায়াতসহ ডানপন্থী ও বামপন্থী কিছু দল নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ডাক দিয়েছে। বিএনপি ও তার মিত্রদের আন্দোলন যে ব্যাপক জনসমর্থন পাচ্ছে না এবং এসব অবরোধ-হরতাল করে যে নির্বাচন না হওয়ার মতো পরিস্থিতি দেশে তৈরি করতে পারবে না, সেটা বলা যায়।


মানুষের সমর্থন আছে—এমন সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত। তবে কোনো দল যদি দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে নির্বাচন থেকে দূরে থাকে, তাহলে অন্যদের কী করার থাকে? একসময় আমাদের দেশের অর্থনীতি ছিল বিদেশনির্ভর। বাজেট পেশের আগে আমাদের অর্থমন্ত্রীরা ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বিদেশে ছুটতেন। এখন অর্থনীতি নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে, রাজনীতি হয়েছে বিদেশনির্ভর।


আর সে জন্যই বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন ঘিরে ভূরাজনীতিতেও একটি নতুন সমীকরণ তৈরি হওয়ার অবস্থা লক্ষ করা যাচ্ছে। একদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা, অন্যদিকে ভারত, চীন ও রাশিয়ার সুস্পষ্ট অবস্থান বাংলাদেশের নির্বাচন ঘিরে যে বলয় তৈরি করছে, তা প্রত্যাশিত না হলেও বাস্তব সত্য। নির্বাচন বাংলাদেশের নিজস্ব বিষয়। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার এ দেশের জনগণের, এটা জানার পরও অন্যদের খবরদারি আপত্তিকর। ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের দৌড়াদৌড়ি তো রীতিমতো বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছেছে।  


আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় গলদ নেই তা নয়। আমাদের রাজনীতিতে অগ্রগতি, পশ্চাদ্‌গতি দুটিই আছে। এটা সব দেশের জন্যই প্রযোজ্য। আমেরিকা বা ব্রিটেনও বলতে পারবে না যে তাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থা শতভাগ ত্রুটিমুক্ত। আমেরিকার গত নির্বাচনের পর সেখানে নজিরবিহীন হামলা হয়েছিল ক্যাপিটল হিলে। পরাজিত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো ওই নির্বাচন মেনে নেননি। রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে একসময়কার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কম ভোট পাননি। বলা হয়ে থাকে, ট্রাম্প মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। এক বিব্রতকর মামলায় ফেঁসে যাওয়ার পরও তিনি কম জনপ্রিয় নন। পরবর্তী নির্বাচনের দৌড়েও তিনি এগিয়ে আছেন। জরিপ বলছে, তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেনের চেয়েও বেশি জনপ্রিয়। প্রশ্ন হলো, আমরা কি তাদের প্রার্থীর মান, এমনকি ভোটারদের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলি? তাহলে তারা কেন আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে এত কথা বলে? গণতন্ত্রের জন্য প্রত্যাশা এক জিনিস, আর চাপ সৃষ্টির জন্য নানা তৎপরতায় লিপ্ত হওয়া আরেক বস্তু। আমেরিকা ও তার মিত্র বলে পরিচিত কিছু দেশের কূটনীতিক ও কর্মকর্তার বাংলাদেশ ঘিরে তৎপরতায় সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীও ক্ষোভ প্রকাশ করে কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।


বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের গণতন্ত্র, বাক্‌স্বাধীনতা ও মানবাধিকার নিয়ে পশ্চিমারা বিভিন্ন সময়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে থাকে। গবেষণা প্রতিবেদনও প্রকাশ করে। তারা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে দেখে থাকে। তা ছাড়া, এসব প্রতিবেদন তারা তৈরি করে সাধারণত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বক্তব্য অনুসরণ করে, একপেশেভাবে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমন একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। তাদের দেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচনও যে সুষ্ঠু হয়নি—এ কথা বললে সেটা কি একেবারে ফেলে দেওয়া যাবে? গণতন্ত্রে আমেরিকার অর্জনকে আমরা অস্বীকার করি না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

উপজেলা নির্বাচনের তফসিল হতে পারে কাল

প্রথম আলো | নির্বাচন কমিশন কার্যালয়
১ মাস, ১ সপ্তাহ আগে

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us