দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনটি হোক বাঁক ফেরার

আজকের পত্রিকা মাসুদ উর রহমান প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:১৩

আমার স্কুলজীবন কেটেছে স্বৈরশাসনের আমলে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় পুরো সময় খালেদা জিয়ার শাসনকালে, অর্থাৎ আমার শিক্ষাজীবনের শেষ বর্ষটি ছাড়া পুরো সময়টায় আওয়ামী শাসনকাজ দেখার সুযোগ যেমন হয়নি, হয়নি আমাদের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে দলটির অতীত ঐতিহ্য ও অবদান সম্পর্কে রাষ্ট্র থেকে জানার। যা জেনেছি, বুঝেছি তা পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, বই পড়ে।


রাষ্ট্রযন্ত্র ছিল তখন মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে নিরাবেগ, নীরব! মহান একুশে, স্বাধীনতা দিবস বা বিজয় দিবস যে পালিত হতো না, তা নয়। পালিত হতো, অনেকটা দায়সারাভাবে। এখনকার মতো এমন আবেগ-উচ্ছ্বাস-উৎসবমুখর ছিল না। শিক্ষাঙ্গনগুলোতে ছাত্রসংগঠন, ছাত্র সংসদ ছিল। ছাত্রদলের তো তখন সুবর্ণ সময়।


সত্যি বলতে কি, আমাদের প্রজন্মটা বেড়ে উঠেছে ভুল-বিভ্রান্তি আর অসত্যকে ধারণ করে। বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ যে একে অপরের পরিপূরক, সে সত্যটি পাঠ্যবই পড়েও জানার সুযোগ ছিল না। একে তো বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য ছিল না বা যেটুকু ছিল, তা-ও সত্য-মিথ্যার মিশেলে।


ছিয়ানব্বইয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই ক্ষতে মলম লাগিয়ে কিছুটা সারিয়ে তুলতে তুলতেই পাঁচ বছর শেষ! ২০০১-এ পুনরায় ক্ষমতারোহী হয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা করল বিএনপির নেতৃত্বে তৎকালীন জোট সরকার। তাদের আশকারায় যারা এই দেশটার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি, বিরুদ্ধাচার করেছে, হত্যা-ধর্ষণ-লুটতরাজ করেছে, সেই তারাই দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হলো। শহীদদের রক্তে রঞ্জিত লাল-সবুজ পতাকাটা সেই তাদের গাড়িতে উড়তে দেখার কষ্টটাও হজম করতে হয়েছিল আমাদের।


অবশেষে ২০০৮-এর শেষদিকে নবম সংসদের মধ্য দিয়ে এল মুক্তির মন্ত্র। জেগে উঠল তারুণ্য! এগিয়ে যেতে থাকল আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। কিন্তু না, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে শুকুনের ছায়া পুনরায় নেমে এল এই নরম পলিমাটিতে, ভেজা বাতাসের দেশে। আমার দম তখন বন্ধ প্রায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় ও সাহসী নেতৃত্বে সেই দুঃসময় আমরা পেছনে ফেলতে পেরেছি।


এরপর হয়ে গেছে আরও দু-দুটি নির্বাচন এবং ক্ষমতাসীন হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। যদিও নির্বাচন দুটি নিয়ে অনেক হতাশা আছে সাধারণ মানুষের; বিশেষ করে ২০১৮ সালের নির্বাচনে কী হয়েছিল, সেটি এখন যেন ওপেন সিক্রেট! স্বয়ং সরকারদলীয় আলোচনায়ও তা উঠে আসছে রাখঢাক ছাড়াই। তারপরও পরপর তিনবার সরকার গঠনের ধারাবাহিকতায় উন্নয়নকাজ ত্বরান্বিত হয়েছে, গতি এসেছে জাতীয় অর্থনীতিতে। আবার ধারাবাহিক ক্ষমতায় থাকার যে কিছু কুফল থাকে, সেগুলোও যে নেই তা বলা যাবে না।


এই সময়ে আমরা স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়ে পূর্ণ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথে হাঁটছি। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৮টি লক্ষ্যের মধ্যে শিক্ষা, শিশুমৃত্যুর হার কমানো এবং দারিদ্র্য হ্রাসকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নোবেলজয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের করা মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us