কোনো কিছুই আগের মতো থাকবে না

আজকের পত্রিকা বিভুরঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ১০:২৭

নির্বাচন ইস্যুতে মতপ্রার্থক্য দূর করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে। সংলাপের প্রশ্নে বড় দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আগাগোড়াই অনাগ্রহ দেখিয়ে আসছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে সন্ত্রাসী ও খুনিদের দল উল্লেখ করে আলোচনায় বসার বিষয়টি বরাবর নাকচ করে আসছেন। আবার বিএনপিও ক্ষমতা না ছাড়লে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় না। তবে ‘রাজনীতিতে শেষ কথা নেই’ বলে যে সুবিধাবাদী বাক্য চালু করা হয়েছে, এর ওপর ভরসা করেই কেউ কেউ শেষ মুহূর্তে আলোচনা বা সংলাপের ব্যাপারে উৎসাহী হয়ে উঠছেন; বিশেষ করে আমেরিকার তৎপরতার কারণে সংলাপের সম্ভাবনা দেখা হচ্ছে।


গত সোমবার প্রধান তিন রাজনৈতিক দল—ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিরোধী বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে নিঃশর্ত সংলাপে বসার তাগিদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সংলাপের তাগিদ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ডোনাল্ড লুর লেখা চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। দূতাবাসের মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এ ছাড়া নির্বাচনের সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সহিংসতা এড়ানো ও সংযম মেনে চলারও আহ্বান জানানো হয়েছে। নির্বাচনে কোনো দলকেই যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না উল্লেখ করে দূতাবাস বলেছে, গণতান্ত্রিক নির্বাচন-প্রক্রিয়াকে যে-ই বাধাগ্রস্ত করুক, তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ঘোষিত ভিসা নীতি প্রয়োগ করতে পারে।


যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কেন আবারও এই সংলাপের প্রস্তাব? রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় চলে এসেছে। রাজনৈতিক দলগুলো এখনো কেউ কাউকে ছাড় না দেওয়ার মনোভাবে অটল থাকায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংঘাতময় হয়ে উঠছে এবং বড় রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই নির্বাচনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া কারও কারও মধ্যে এমন ধারণাও তৈরি হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ দলের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ক্ষোভ ও অবিশ্বাস থেকে রাজনৈতিক কর্মীদের কেউ কেউ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য করছেন। রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায় থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।


অন্যদিকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অতি তৎপরতা ভারতের কাছেও গ্রহণযোগ্য হয়নি। দিল্লিতে ১০ নভেম্বর ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে টু প্লাস টু বৈঠকের পর ভারতের অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব জানান, বৈঠকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশের নেতারা আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই স্পষ্ট করে তুলে ধরেছি। তৃতীয় কোনো দেশের নীতিমালা নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার জায়গা নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সে দেশের মানুষ তাঁদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us