মাঝনদীতে নৌকার মাঝি স্থানীয় লোকদের সঙ্গে কথাবার্তা বুঝেশুনে বলতে বললেন। পরে সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের বড় কয়রা ঘাটে নেমে চরের তিন বাসিন্দার সঙ্গে কথা হয় মাঝির সতর্কতা মেনে। বয়োজ্যেষ্ঠ এক বাসিন্দা বলেন, ‘বালু নিয়ে খুন-খারাপি হয়েছে, আমরা কিছু কইলেই তুইল্যা ওপারে নিয়া সাইজ করবো (মারবে)।’
নদী থেকে বালু তোলার প্রসঙ্গ উঠলেই কাওয়াকোলার চরবাসীর চোখে-মুখে এমন আতঙ্কের ছাপ। এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলার কারণে ইউনিয়নের প্রায় অর্ধেক নদীতে বিলীন হয়েছে। তিন মাস আগেও নদীভাঙনের শিকার হয়েছে ৪০০ থেকে ৫০০ পরিবার।
গত ২২ অক্টোবর সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের জেলখানা ঘাট থেকে নৌকাযোগে কাওয়াকোলা যেতে দেখা গেল, যমুনা নদীতে অর্ধশত ড্রেজার বসিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে নদীর হার্ড পয়েন্ট পর্যন্ত ১০ কিলোমিটারে ছোটাছুটি করছে শতাধিক বাল্কহেড। কোনোটা বালু নিয়ে যাচ্ছে, কোনোটা নিতে আসছে। নৌকার মাঝি বলেন, সিরাজগঞ্জের যমুনা নদী এখন বালুর বড় ব্যবসাকেন্দ্র হয়ে গেছে।