বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের বর্জ্য শোধনের জন্য একটি যন্ত্র কেনা হয়েছিল প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকায়। ২০১৮ সালে কেনা ‘মেডিকেল ওয়েস্ট ডিসপোজাল প্ল্যান্ট’টি এক দিনও ব্যবহার করেনি প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি ব্যবহারের জন্য সেটি কোথাও স্থাপনও করা হয়নি। গুদামে তালাবদ্ধ কক্ষে পড়ে আছে। এভাবে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের বিষয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিএসএমএমইউ ও দুদক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, যন্ত্রটি ব্যবহারের উপযোগীই নয়। এই প্ল্যান্ট কিনে স্থাপন করার চেয়ে রক্ষণাবেক্ষণ বেশি ব্যয়বহুল। এ ছাড়া এটি স্থাপন করা হলেও আদৌ কাজে আসবে কি না, তা নিয়েও সংশয় আছে।
প্রকল্প পরিচালক ডা. আবু নাসার রিজভী আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটি কোরিয়ান হাসপাতালে স্থাপন করা হবে বলে আর ব্যবহার করেনি বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।
বিএসএমএমইউ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে বিএসএমএমইউকে সেন্টার অব এক্সিলেন্স-এ পরিণতকরণ (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে হাসপাতালের চিকিৎসা বর্জ্য শোধনের জন্য প্ল্যান্টটি কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন ডা. আবু নাসার রিজভী। ২০১৭ সালের ২ আগস্ট প্ল্যান্টটি কেনা ও স্থাপন করার কাজ পায় এমএস আহমেদ এন্টারপ্রাইজ। ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় কেনা হয় প্ল্যান্ট। হাসপাতালের তৎকালীন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবদুল্লাহ-আল-হারুনের নেতৃত্বে ২০১৮ সালের ৬ জুন সামগ্রী গ্রহণ ও মূল্যায়ন কমিটিও গঠন করে কর্তৃপক্ষ। প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভীর সই করা এক আদেশে ওই কমিটিকে মেডিকেল ওয়েস্ট ডিসপোজাল প্ল্যান্ট যাচাই-বাছাই করে গ্রহণের বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে মতামত দিতে বলা হয়। ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই কমিটির সভাপতি উপস্থিত থেকে প্ল্যান্টের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছেন বলে প্রকল্প পরিচালককে জানান। সে অনুযায়ী প্ল্যান্টটি গ্রহণ করা হয়।