কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা ট্যাব কিনতে ঠিক কতটুকু র্যাম দরকার, তা অনেকেই জানেন না। এ জন্য নতুন ডিভাইস কিনতে গেলে বিড়ম্বনার পাশাপাশি ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। তাই সঠিক নির্দেশনা ও তথ্য জানা থাকলে দোকানে গিয়ে দ্বিধায় পড়ার সুযোগ কমে আসবে।
বিভিন্ন র্যামের ধরন
- ৪ গিগাবাইট: কিছু ক্রোমবুক ও ট্যাবে ৪ গিগাবাইট র্যাম থাকে। বাজেট সমস্যা থাকলে এ ধরনের ট্যাব পছন্দের তালিকায় রাখা যেতে পারে।
- ৮ গিগাবাইট: এন্ট্রি লেভেলের ল্যাপটপে ৮ গিগাবাইট র্যাম দিয়ে উইন্ডোজের বেশ কিছু গেম খেলা যায়।
- ১৬ গিগাবাইট: উইন্ডোজ ও ম্যাক সিস্টেমের জন্য খুবই ভালো এবং গেম খেলার উপযোগী। তবে কোনো কোনো গেমের জন্য আরও বেশি র্যাম প্রয়োজন পড়ে।
- ৩২ গিগাবাইট: পেশাদার এবং উচ্চপর্যায়ের গেমারদের জন্য এটি বেশ কার্যকর। গেম খেলার জন্য এই র্যাম পর্যাপ্ত, দামও আয়ত্তের মধ্যে।
- ৪৮ গিগাবাইট: ৩২ গিগাবাইটে না হলে এবং ৬৪ গিগাবাইটের প্রয়োজন না পড়লে অর্থ বাঁচাতে নন-বাইনারি কিটের ৪৮ গিগাবাইট র্যাম ব্যবহার করা যেতে পারে।
- ৬৪ গিগাবাইট এবং তার থেকেও বেশি: প্রকৌশলী, পেশাদার এভি সম্পাদকের মতো কাজ করতে এ ধরনের র্যাম প্রয়োজনে আসবে।
ট্যাবে কতটুকু র্যাম দরকার
ট্যাব সাধারণত ভারী সফটওয়্যারের উপযোগী করে তৈরি করা হয় না। তাই ট্যাবে র্যামের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম লাগে।
মাল্টিট্যাব ব্রাউজার ও সফটওয়্যারের নতুনত্বের কারণে বর্তমানে ট্যাবগুলোতে ২ গিগাবাইট থেকে ১৬ গিগাবাইট পর্যন্ত র্যামের উপস্থিতি দেখা যায়। ফলে র্যামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে ব্যাটারির স্থায়িত্ব ও প্রসেসরের গতিতেও এসেছে পরিবর্তন।
ল্যাপটপে কতটুকু র্যাম দরকার
ক্রেতাদের কথা বিবেচনায় রেখে বেশির ভাগ ল্যাপটপে ৮ গিগাবাইটের র্যাম থাকে। আরও ভালো কনফিগারেশনের ল্যাপটপে ১৬ গিগাবাইট এবং সবচেয়ে শক্তিশালী গেমিং নোটবুকগুলোতে ৩২ গিগাবাইটের র্যাম থাকে। ভারী গেম ও সফটওয়্যারের জন্য বেশি র্যামের প্রয়োজন। মূলধারার ল্যাপটপেও এখন ১৬ গিগাবাইটের র্যাম দেখা যায়।