হুন্ডির প্রভাবে রেমিট্যান্স কমছে প্রতিনিয়ত। আর এর নেপথ্যে হুন্ডির মাথাচাড়া দিয়ে ওঠাকেই মূল কারণ হিসেবে দেখছেন অনেকে।বিষয়টি এখন অনেকটাই ‘ওপেন সিক্রেট’ অবস্থায় পৌঁছেছে। বিদেশে কর্মী যাওয়া বাড়লেও টানা কয়েক মাস ধরে অব্যাহতভাবে রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার পেছনে কমবেশি সবাই হুন্ডিকেই দায়ী করছেন। এর প্রভাবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমেই তলানিতে এসে ঠেকছে। সমালোচনা রয়েছে যে, হুন্ডিওয়ালাদের কাছে রীতিমতো জিম্মি হয়ে পড়েছে রেমিট্যান্স খাত। হুন্ডির দৌরাত্ম্য কমাতে ডলারের দর বাজারভিত্তিক করার ওপর মতামত দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাস অক্টোবরের প্রথম ১৩ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৮ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার ডলার।এতে দৈনিক আসছে ৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স। তবে সাধারণত গড়ে ৭ কোটি ডলার কম আসা নেতিবাচক। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস হিসাবে জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ডলার। আগস্টে ছিল ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরে এসেছে ১৩৪ কোটি ডলার, যা গত ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ডলার।