তাড়াতাড়ি মেদ ঝরবে বলে শরীরচর্চার সঙ্গে ডায়েটও করেন। ছিপছিপে শরীরের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে, তাই পছন্দের অনেক খাবারই নির্দ্বিধায় ‘বলি’ দিয়েছেন। তবে দিনের মূল তিনটি খাবারের তালিকায় কড়া নিয়ম মানলেও মুশকিল হয় বিকেল বা সন্ধ্যার জলখাবার নিয়ে। বাড়িতে থাকলে এক রকম।
কিন্তু কাজের জন্য বাইরে থাকলে কোথায় কী পাবেন আর কী খাবেন, সেই চিন্তায় মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এমন অনেক খাবার আছে, যেগুলি যথেষ্ট মুখরোচক। কিন্তু রান্নার উপকরণ এবং পদ্ধতি স্বাস্থ্যকর। তাই সেগুলো খেলেও শরীরে বাড়তি ক্যালোরি বা মেদ, কোনোটিই অতিরিক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
ধোকলা
ভেজানো ডাল বেটে, ভাপিয়ে তৈরি করা এই খাবার খেতে যেমন ভাল, তেমন পুষ্টিকরও। পুষ্টিবিদদের মতে, এই ধোকলা যে কোনো সময়েই খাওয়া যেতে পারে। তবে সন্ধের জলখাবারে চা বা কফির সঙ্গে খাওয়াই শ্রেয়।
ক্যারামেল কাস্টার্ড
নাম শুনে ভয় লাগলেও এই মিষ্টি পদটি অন্যান্য ভাজা, রসে ডোবানো মিষ্টির তুলনায় পুষ্টিকর। দুধ, ডিম এবং ভ্যানিলা এসেন্সের গন্ধে ভরা এই মিষ্টি পদটিও খেতে বেশ সুস্বাদু।
ইডলি
ধোকলার মতোই ভাপিয়ে তৈরি করা হয় ইডলি। শুধু এই খাবারে ডালের বদলে থাকে চাল। সকালের জলখাবারে দক্ষিণী এই পদ খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার দিয়ে দিন শুরু করলে কাজ করার প্রয়োজনীয় শক্তি পাওয়া যায় সহজেই।
মোমো
বিকেল-সন্ধ্যায় খিদে পেলে মোমোকেই বেছে নেয় স্বাস্থ্য সচেতন তরুণ প্রজন্ম। যদিও মোমোর মূল উপদান ময়দা। তবে সেটুকু বাদ দিলে সবজি কিংবা মুরগির মাংসের সেদ্ধ পুর স্বাস্থ্যের জন্য ভালোই। তবে স্বাদ বদলের জন্য ‘ফ্রায়েড’ বা ‘সেজুয়ান’ মোমো খেলে কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হবে না।
সেদ্ধ করা ভুট্টা
উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের মধ্যে ভুট্টা বেশ জনপ্রিয়। সেদ্ধ করা ভুট্টার দানার সঙ্গে সামান্য মাখন, গোলমরিচের গুঁড়ো এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিলে খেতে দারুণ লাগে। স্বাস্থ্যের জন্যেও এই খাবার বেশ উপাদেয়।