কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলে বা জীবনে কোনো চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে যে উত্তেজনার তৈরি- সেখান থেকেই আসে মানসিক চাপ।
যদিও প্রায় সবাই এই ধরনের চাপের সম্মুখিন হন। তবে দীর্ঘমেয়াদে মানসিক চাপে ভুগলে দেহে নানান বাজে প্রভাব পড়ে।
এই বিষয়ে ক্যালিফোর্নিয়া জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার চিকিৎসক অঞ্জু গোয়েল বলেন, “সপ্তাহব্যাপী বা এর বেশি সময় ধরে মানসিক চাপে ভুগলে একে দীর্ঘমেয়াদি চাপ হিসেবে ধরে নিত হবে। যেমন- অর্থনৈতিক সমস্যার জন্য বেশিদিন মানসিক চাপে ভুগলে শরীর সবসময় সতর্ক থাকবে, যা থেকে দেখা দিতে পারে মানসিক ও শারীরিক সমস্যা।”
হাঁপানির সমস্যা বেড়ে যাওয়া
এই চিকিৎসক হেল্থডটম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানান, যাদের হাঁপানি রয়েছে মানসিক চাপ থেকে তাদের এই সমস্যা বাড়ে। আর যাদের নেই তাদের মধ্যে অনেক সময় শ্বাস টান দেখা দেয়। কারণ মানসিক চাপে মাংস পেশিতে টান পড়ে, শ্বাস নেওয়ার পরিমাণ বাড়ে।
হজমতন্ত্রের সমস্যা
মানসিক চাপে থাকলে যে ধরনের হরমোন নিঃসরণ হয়, সেটা হজমে সমস্যা তৈরি করে। এর মধ্যে রয়েছে
* কোষ্ঠকাঠিন্য * ডায়রিয়া * বদহজম * ক্ষুধা হারানো * পেটফাঁপা * পেপটিক আলসার * পেট ব্যথা।
এছাড়া ‘ইরিটেবল বাওল সিস্টেম’ বা আইবিএস হতে পারে। যার লক্ষণ হল পেটব্যথা, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য।
চুল পড়া
জীবনের চাপযুক্ত সময়ে চুল পড়ার পরিমাণ বাড়তে পারে। চুল পাতলা হওয়ার এই বিষয়টা মানসিক চাপ থেকে বের হয়ে আসলে অনেক সময় ঠিক হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে সময় লাগতে পারে ছয় থেকে নয় মাস।
অনেকে দুশ্চিন্তা বা মানসিক অস্থিরতা থেকে চুল টানেন, যাকে বলায় হয় ‘ট্রিকোটিলোমেনিয়া’। এই সমস্যা কাটানোর জন্য বাজে অভ্যাস দূর করার প্রশিক্ষণ নেওয়া যেতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নিজেই সচেতন হওয়া।
হৃদপিণ্ডের সমস্যা
মানসিক চাপে দেহ প্রাথমিকভাবে সাড়া দেয় হৃদ-স্পন্দন বৃদ্ধির মাধ্যমে। সারাক্ষণ চাপে থাকলে রক্তচাপ বাড়ে, ফলে ধমনীতে চাপ পড়ে। যেখান থেকে হৃদ-সংক্রান্ত নানান সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- হাইপারটেনশন, উচ্চ কোলেস্টেরল, হার্ট অ্যাটাক ইত্যাদি।