দুই বছর আগে শারদীয় দুর্গোৎসব চলাকালে কুমিল্লার কয়েকটি মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১২টি মামলার কোনোটির বিচার শেষ হয়নি। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সব আসামিই জামিনে রয়েছেন।
পুলিশ বলছে, প্রতিটি মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে; বিচারকাজ চলছে। অপরদিকে দ্রুত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা বলছেন, বিচারহীনতা নতুন অপরাধ করতে অপরাধীদের উৎসাহিত করে।
২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লা নগরীর নানুয়াদিঘির পাড়ে দর্পণ সংঘের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে হনুমানের মূর্তির কোলে কোরআন শরিফ দেখে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
একে কেন্দ্র করে ওইদিন নগরীর চারটি মন্দির ও সাতটি পূজামণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে। নগরীর ঠাকুরপাড়া এলাকায় রক্ষাকালী মন্দির, কাপড়িয়াপট্টি শ্রীশ্রী চান্দমনি রক্ষাকালী মন্দির, মনোহরপুর এলাকার রাজ রাজেশ্বরী কালীবাড়ি মন্দিরের বেশি সহিংসতা হয়েছিল সেদিন।