সম্প্রতি ৪১ তম বিসিএস এর ফলাফল প্রকাশের পর থেকে দেশের একটা বহুল পঠিত পত্রিকার ৩-৪ দিনের শিরোনামগুলো গুছিয়ে রেখেছিলাম, বিসিএস নিয়ে গণমাধ্যমের মাতামাতি এবং এর সামাজিক প্রভাব নিয়ে লেখার জন্য। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে দু-এজনের লেখা পড়ে মনে হয়েছে, তারা আমার চেয়ে ভালো লিখেছেন। তাছাড়া পত্রিকাগুলোর কথিত বিসিএস জয়ীদের বীরত্বের আখ্যানও চলমান ছিল। তাই একটু সময় নিচ্ছিলাম।
আখ্যান শেষে গণমাধ্যমের কর্তাব্যক্তিরা আবার কলম ধরেছেন বিসিএস নিয়ে এত মাতামাতি কি ঠিক হচ্ছে? গণমাধ্যম বলে কথা! সবদিকে সামঞ্জস্য রক্ষা করে চলতে হয়। কিন্তু যে কর্তাব্যক্তিরা আজ এই শিরোনামে লিখছেন, তারা কি তাদেরই পতিকাতে শিরোনামগুলোতে চোখ না বুলিয়েই অনুমোদন করেছেন? ভেতরের বক্তব্য দেখবার ফুসরত হয়ত তাদের নেই। কিন্তু শিরোনামগুলোর মধ্যেই যে যথেষ্ট সংবেদনশীলতার অভাব রয়েছে, যুক্তিশীলতার অভাব রয়েছে সেগুলো কমপক্ষে তারা আমলে নিতে পারতেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও যারা লিখেছেন, তারাও হয়ত তাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিষয়টাকে উপস্থাপন করেছেন। আমি একটু গণমাধ্যমের ভূমিকা এবং কথিত বিসিএস জয়ীদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলাপটা এগিয়ে নিতে চাই।
মূল আলাপে যাবার আগে কয়েকটা শিরোনাম উল্লেখ করে পাঠক এবং আমার নিজের জন্যও সুবিধা হবে বলে মনে করি।