ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র লড়াইয়ের প্রভাব পড়েছে ইসরায়েলের অর্থনীতিতে। এই যুদ্ধের প্রভাবে ব্যাপক দরপতন হয়েছে ইসরায়েলি মুদ্রা শেকেলের। বিগত আট বছরের মধ্যে ডলারের বিপরীতে শেকেলের দাম আর কখনো এত কমেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত শনিবার সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার মিসাইল ছোড়ে। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে। দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী এই যুদ্ধে এ পর্যন্ত আট শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। এর প্রভাব পড়েছে ইসরায়েলের অর্থনীতিতে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ার বাজারে ডলারের বিপরীতে শেকেলের দাম কমেছে ৩ শতাংশ। বর্তমানে দাম কমে ১ ডলারের বিপরীতে শেকেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯৫৮১, যা ইসরায়েলের ইতিহাসে বিগত আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।
এদিকে গাজা উপত্যকায় সব ধরনের খাবার, জ্বালানি, ওষুধসহ অন্যান্য পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা এবং জলসীমায় অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বল্প সময়ের নোটিশে দেশের ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্যকে সক্রিয় ডিউটিতে ডেকে পাঠিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত গাজা অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন গাজার সব বিদ্যুৎসংযোগ কেটে দিতে। খাদ্য, জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় সব উপকরণ যেন গাজায় প্রবেশ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
ইসরায়েলের এমন ঘোষণার পর গাজার নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের মহাসচিব জ্যান এগেলন্ড বলেছেন, ইসরায়েলের এমন উদ্যোগের ফলে গাজাবাসীর জীবনে আক্ষরিক অর্থেই ‘নরক’ নেমে আসবে। তিনি বলেছেন, ‘এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে এভাবে সবাইকে শাস্তি দেওয়া আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।’