দেশের ১৫টি ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তির দুর্বলতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। এসব ব্যাংক ঋণের মান অনুযায়ী নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন রাখতে গিয়ে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের হোঁচট খেয়েছে। প্রভিশন রাখতে গিয়ে তারা মূলধনে টান দিচ্ছে, আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণে মূলধনও রাখতে পারছে না। এসব ব্যাংক এরই মধ্যে নিজেদের প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকার মূলধন খেয়ে ফেলেছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকগুলো গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে। ওই অর্থ দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়। যথাসময়ে ঋণ আদায় করতে না পারলে খেলাপি বা মন্দ ঋণে পরিণত হয়। নিয়ম অনুযায়ী ঋণ খারাপ হয়ে পড়লে অনুপাতহারে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ (প্রভিশন) ও অতিরিক্ত মূলধন রাখতে হয়, যার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
কিন্তু ১৫টি ব্যাংক সেই অনুপাতে মূলধন সংরক্ষণ করতে পারেনি। এগুলো হলো— রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী, জনতা, রূপালী, অগ্রণী ও বেসিক ব্যাংক; বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক; বেসরকারি বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক এবং বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান।