চলতি বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী পিয়ের আগোস্তিনি, হাঙ্গেরির বিজ্ঞানী ফেরেন্স ক্রাউজ ও ফ্রান্সের বিজ্ঞানী অ্যানা লুইয়ার। তাদের মধ্যে অ্যানা লুইয়ার পেশায় অধ্যাপক। তিনি সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়ান।
তবে নোবেল পুরস্কার জয়ের খবর দেওয়ার জন্য অ্যানাকে একাধিকবার কল করা হলেও তা ধরেননি তিনি। কারণ সে সময় তিনি ক্লাসে পড়া ছিলেন। তাই ক্লাসের বিরতিতে আবার ফোন এলে তিনি ধরেন এবং বলেন, ‘আমি ব্যস্ত আছি, ক্লাস নিচ্ছি।’
তবে অধ্যাপকের কাছে দু–তিন মিনিট সময় চেয়ে নেন নোবেল কমিটির পক্ষে অ্যাডাম স্মিথ। সম্মতি পেয়ে অ্যানাকে অভিনন্দন জানিয়ে নোবেল পুরষ্কার জয়ের সংবাদ দেন স্মিথ। তবে উত্তরে অ্যানা তাকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় অ্যাডাম স্মিথ জানতে চান, খবরটি শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে কি না? উত্তরে সদ্য নোবেল জয়ী অ্যান বলেন, ‘তাদের অবশ্যই জানাব। তারা জানলে অনেক খুশি হবে। এটা তাদের জন্য অনেক আনন্দের খবর হবে।’
দ্য নোবেল প্রাইজ নামে ভেরিফায়েড পেজে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি পদার্থের নোবেল বিজয়ী হিসেবে তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করেছে।ইলেকট্রন গতিবিদ্যার গবেষণায় অবদানের জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয় বলে নোবেল কমিটি জানায়। ইলেকট্রন গতিবিদ্যায় পরীক্ষামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করে কীভাবে আলোর অ্যাটোসেকেন্ড পালস তৈরি হয়, তাদের গবেষণায় সেটি দেখানো হয়েছে। নোবেলজয়ী এ তিন পদার্থবিদ এমন আলোর ফ্ল্যাশ (ঝলকানি) তৈরি করেছেন যেগুলো ‘অতি দ্রুত চলাচলকারী’ ইলেকট্রনের স্ন্যাপশট নিতে পারে।