সুস্থ হৃৎপিণ্ড (হার্ট) সবার কাম্য। এই অঙ্গের বেশির ভাগ রোগ নীরব ঘাতক। দীর্ঘদিন উপসর্গ ছাড়াই হৃৎপিণ্ডের রোগ সুপ্ত অবস্থায় থাকে। তাই নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখতে হবে, হৃৎপিণ্ড কতটা সুস্থ, কতটা কর্মক্ষম অথবা কতটা অসুখের ঝুঁকি বহন করছেন।
উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক, অ্যানজাইনা, বাতজ্বর, বাল্বের অসুখ, জন্মগত হৃদ্রোগ, হার্ট ফেইলিউর, কার্ডিওমায়োপ্যাথি, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন—এসবই হৃৎপিণ্ডের অসুখ। হার্ট অ্যাটাক ও অ্যানজাইনা রোগের প্রকোপই বেশি। এতে হৃদযন্ত্রের রক্তনালিতে ধীরে ধীরে চর্বি জমতে থাকে। হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয় এবং একসময় হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশি আক্রান্ত হয়। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক ও অ্যানজাইনা রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
হৃৎপিণ্ডের অবস্থা জানা যাবে কীভাবে
একজন মানুষ পরবর্তী ১০ বছরের জন্য কতটা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে আছেন, তা আগেই নির্ণয় করা যায়। অনলাইন ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে যে কেউ নিজের কয়েকটি শারীরিক তথ্য দিয়ে এ তথ্য বের করতে পারেন। সে অনুযায়ী তিনি সতর্ক হতে পারেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
হৃদ্রোগের সম্ভাব্য ঝুঁকি যাচাইয়ের বেশ কয়েকটি অনলাইন ক্যালকুলেটর আছে। এগুলোর মধ্যে ফ্রামিংহাম স্কোরিং ক্যালকুলেটর উল্লেখযোগ্য। এই ক্যালকুলেটর ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে (https://reference.medscape.com/calculator/252/framingham-risk-score-2008) প্রবেশ করতে হবে। ঝুঁকি যাচাইয়ে জন্য মোট ৯টি তথ্য দিয়ে এই ক্যালকুলেটরের ঘর পূরণ করতে হয়। তথ্যগুলো হলো—