‘তোমাদের আরিফ ভাইয়া’ কি আমাদের সন্তানদেরও ‘রোল মডেল’ হতে যাচ্ছে?

জাগো নিউজ ২৪ শাহানা হুদা রঞ্জনা প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:১৭

‘তোমাদের আরিফ ভাইয়া’ নামের কিশোর গ্যাংটির প্রধান হিসেবে আরিফ তার নামটি ট্যাটু করে গলায় লিখে রেখেছে। দল নেতা হিসেবে নিঃসন্দেহে যুতসই ও অভিনব হয়েছে তার এই ট্যাটু করার আইডিয়াটি। এছাড়া নেতাসহ দলের সবারই সিনেমার ভিলেনদের মতো সাজগোজ, চুলের স্টাইল। এদের কাজ দলবল নিয়ে বিভিন্ন স্থানে মারামারি করা, আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং এলাকায় দাপটের সাথে থাকা। ওদের যা দরকার বা যা ওদের নাই, সেগুলো কেড়ে নেওয়াই তাদের লক্ষ্য।


এই সমাজ তাদের শিখিয়েছে ভিলেনরাই ক্ষমতাধর, ভিলেনরাই প্রকৃত রোল মডেল। এখানে পড়াশোনা করে, ভালো মানুষ হয়ে একজন মানুষ যা পায়, দুর্নীতি করে বা অন্যেরটা কেড়ে নিয়ে এর চাইতে অনেক বেশি পাওয়া যায় এবং আরামেও থাকা যায়। তাই হয়তো এ পথে নাম লেখাচ্ছে আমাদের শিশু-কিশোররা।


দেশের বাড়ি রংপুর থেকে আশির দশকে আমাদের বাসায় ১২-১৩ বছরের একটা ছেলে এলো মূলত আব্বার সাথে থাকার জন্য। বাড়িশুদ্ধ লোক ওকে অক্ষরজ্ঞান দিতে গিয়ে হয়রান হয়েছে মাত্র, একটি লাইনও শেখাতে পারেনি। ওর নাম ছিল ঢ্যাড়ামদ্দী। ঢ্যাড়ার সবদিক ভালো ছিল কিন্তু সমস্যা ছিল ও চুরি করে খেতো। পোলাও-মাংস থেকে আলু সেদ্ধ, মিষ্টি থেকে কাঁচকলা সবই চুরি করে খেতো। মাঝে মাঝে ওর এই চুরি করার ক্ষমতাকে ম্যাজিক বলে মনে হতো।


কেন ও শুধু খাবার চুরি করে, অন্য কিছু চুরি করে না, এ ব্যাপারে ঢ্যাড়ার একটি যুক্তি ছিল। রংপুরের ভাষায় ও বলতো, “মোর বাপ মোক চুরিবিদ্যা শিখাইছে। মোর বাপও চোর ছিলে, মুইও চোর। বাপের সাথোত থাকি মুইও চুরি শিখছি। ওমরালা মোক হাটোত ধরি যাইতো মাছ চুরি কইরবার তানে। চুরি কইরবার পাইল্লে খাওয়ান পাইতাম, না পাইল্লে খায়োনও নাই।” (বাবা হাটে নিয়ে যেতো মাছ চুরি করার জন্য। চুরি করতে পারলে খাওয়া জুটতো, তা না হলে খাওয়া নাই)।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us