যুগান্তরে প্রকাশিত সবশেষ লেখায় আলুর দামের প্রসঙ্গে বলেছিলাম, কিছু আলুও কি আমদানি করতে হবে? এরপর সপ্তাহখানেকও যায়নি, সরকারকে আলুর দাম বেঁধে দিতে হলো। সঙ্গে ডিম ও পেঁয়াজের। বাজার অর্থনীতিতে পণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে সুফল মেলে কি? সেটা কার্যকর করতে তোড়জোড় করা হলে হিতে বিপরীতও ঘটে থাকে। মাত্র কদিনেই কিন্তু দেখা গেল, সুফল তেমন মিলছে না। বাজার পরিদর্শনকারীরা চলে গেলেই আবার ‘স্বাভাবিক দামে’ বেচতে শুরু করছে ব্যবসায়ীরা। তাদের বক্তব্য-কম দামে আনতে না পারলে কমে বেচব কিভাবে? সঙ্গে অন্যান্য খরচও তো আছে।
খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যেও অতিমুনাফার প্রবণতা রয়েছে অবশ্য। এদিকে পাইকার, আমদানিকারকরা কম হারে মুনাফা করলেও একযোগে বেশি বিক্রি করায় তাদের অন্যভাবে পুষিয়ে যায়। তাদের মধ্যে গিয়ে সরকারি লোকজনকে চোটপাট করতেও দেখা যায় কম। এবার অবশ্য হিমাগারে আলু বেচাকেনার খোঁজ নিতে গেছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের ডিজি। স্বভাবতই কিছু অনিয়ম খুঁজে পেয়েছেন। কিছুদিন আগে ডাব ব্যবসায়ীরা নজিরবিহীন কাণ্ড করেছিলেন ডেঙ্গু রোগীর স্বজনদের টার্গেট করে। অবনতিশীল ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে ডাবের চাহিদা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েও গিয়েছিল। হুজুগে কোনো কিছুর চাহিদা দ্রুত বাড়লে তার দাম সেভাবেই বেড়ে যায়। ডাবের ক্ষেত্রে এটা হয়েছিল। আমরা দেখেছি এ ব্যাপারেও ভোক্তা অধিদপ্তরকে তৎপর হতে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ন্ত্রিত। যেসব পরিবারে করোনার চাপ গেছে, তাদের মধ্যে আবার ডেঙ্গু হানা দিলে চিকিৎসা ঘিরে বিপদে পড়ার কথা। বিশেষত বেসরকারি হাসপাতালে গেলে খরচের কোপ গিয়ে পড়ছে পরিবারগুলোর ওপর। অনেককে গ্রাম থেকে রোগী নিয়ে আসতে হচ্ছে রাজধানীতে। আমরা তো সেবা খাতকে শহরাঞ্চলে কেন্দ্রীভূত করেছি। খাতটি এ মুহূর্তে রোগীর চাপ নিতেও ব্যর্থ।