রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য নতুন কিছু নয়। তবে এবার তাদের তৎপরতা বেড়েছে বিমানবন্দরে। টার্গেট বিদেশফেরত যাত্রীরা। ইতোমধ্যে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের অজ্ঞান করে মূল্যবান মালামাল লুটের ঘটনাও ঘটেছে। তাদের প্রয়োগ করা নেশা জাতীয় দ্রব্যের বিষক্রিয়ায় স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে পড়ছেন যাত্রীরা। বিদেশফেরত যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞান পার্টির একাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ।
আর্মড পুলিশের সূত্র জানায়, বিদেশ থেকে যারা আসেন,তারা পরিবারের জন্য মোবাইল, গয়না, ঘড়িসহ মূল্যবান উপহার-সামগ্রী নিয়ে আসেন। এছাড়াও প্রবাসীদের সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা ও দামি জিনিসপত্র থাকে। বিদেশ থেকে প্রতি দিন কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ দেশে ফেরেন। ফলে এক জায়গায় বেশি মানুষের আনাগোনার মাঝে টার্গেট খুঁজে পেতে বিমানবন্দরে আগের চেয়ে বেশি সক্রিয় হয়েছে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। ২০২২ সালে থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে সক্রিয় হলেও সাম্প্রতিক সময়ে তাদের তৎপরতা অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছ্নে, বিমানবন্দরে অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য বন্ধ না হলে বিদেশফেরত যাত্রীরা আরও বেশি করে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকবেন।
বিমানন্দরে কীভাবে টার্গেট খোঁজে অজ্ঞান পার্টি?
হাতে একটি লাগেজ নিয়ে বিমানবন্দরের সামনে দাঁড়িয়ে আছে ৩১ বছর বয়সী মো. মামুন। নতুন জামা-জুতো পরা মামুনকে দেখলে যে কেউ বলবেন, সে বিদেশফেরত কোনও যাত্রী। কোমরে বাঁধা একটি সাইড ব্যাগ, যে ধরনের ব্যাগে যাত্রীরা পাসপোর্ট ও টিকিট রাখেন। এমনকি তার লাগেজে রয়েছে লাগেজ ট্যাগের স্টিকার।
বিদেশফেরত যাত্রীর ছদ্মবেশধারী মামুন মূলত অজ্ঞান পার্টির একজন সক্রিয় ও দুর্ধর্ষ সদস্য। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শিকার ধরতে এভাবেই যাত্রীবেশে ঘুরে বেড়ায় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা।