বিএনপি দলগতভাবে ভোটে থাকছে না—এটা ধরে নিয়েই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ছক সাজাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলটির নির্বাচনী কৌশলের মূলে রয়েছে, যত বেশি সম্ভব ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করা। ভোট পড়ার হার বাড়াতে পারলে দেশে-বিদেশে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য দেখানো যাবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনেকটা গত মে-জুনে অনুষ্ঠিত পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো করার চিন্তা আছে। অর্থাৎ বিএনপি সরাসরি অংশ না নিলেও তাদের থেকে দলছুট অনেককে ভোটে দাঁড় করানোর চেষ্টা থাকবে। আওয়ামী লীগ তাদের মিত্র ও ইসলামপন্থী দলগুলোকেও আলাদাভাবে ভোটে অংশগ্রহণে উৎসাহ দেবে। আর আওয়ামী লীগ আর্থিক জোগান, সাংগঠনিক শক্তি ব্যবহার এবং সরকারের বিভিন্ন অঙ্গের সহায়তায় সর্বোচ্চসংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করবে।
তবে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের চিন্তায় এ–ও রয়েছে যে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা জাতীয় নির্বাচন প্রতিরোধ করতে পারে। আর তা মোকাবিলা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে। ভোটের আগেই বিএনপির অনেক নেতার সাজা হবে, গ্রেপ্তার হবেন। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হবে না বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা।