আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত পূরণে পিছিয়ে পড়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত অর্থবছরে তারা আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী শুল্ক-কর আদায় করতে পারেনি। শুল্ক-কর ছাড় বন্ধে বাজেটে বড় কোনো উদ্যোগও নেওয়া হয়নি। চলতি বছরে বাড়তি যে রাজস্ব আদায় করতে হবে, সে ব্যাপারে এখনো কোনো পরিকল্পনা করা হয়নি। তবে একটি শর্ত পূরণ করতে গিয়ে তাড়াহুড়া করে নতুন আয়কর চালু করা হয়েছে।
অন্যদিকে আরেক সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) অনেকটাই এগিয়ে গেছে আইএমএফের শর্ত পূরণের ক্ষেত্রে। বিবিএসের জন্য শর্ত ছিল আধুনিক পদ্ধতিতে ঘন ঘন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা। এর অংশ হিসেবে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) এবং শ্রমশক্তি জরিপ করা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি গণনায় জাতিসংঘ স্বীকৃত ‘কইকপ’ পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। যদিও তবে বিবিএসের তথ্য– উপাত্ত নিয়ে অর্থনীতিবিদেরা প্রায়ই প্রশ্ন তোলেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড়ও করা হয়েছে। আগামী নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে শর্ত কতটা পূরণ হলো, তা দেখতে আগামী মাসে আইএমএফ প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসবে।