ঈশ্বরদীর মন্টু, মার্কিন লেখক জো গ্রিফত ও ডিসলেক্সিয়া

প্রথম আলো গওহার নঈম ওয়ারা প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:৫৫

মন্টুদের বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদীতে। ভালো দাবা খেলে, মাত্র ১২ বছর বয়সে সে যেভাবে ফুটবল খেলে, তা দেখে চমকে যেতে হয়। বড়দের টিমে তার ডাক আসে। বাঁ-ডান দুই পা তার সমানে চলে। সেই সঙ্গে চলে বুদ্ধি। ফুটবল যে এখন বুদ্ধিরও খেলা, মন্টু সেটা খুব ভালো বোঝে। তারপরও মন্টুর মার বুকফাটা আর্তনাদ ‘আমার ছাওয়ালডা একটা গাধা’। পঞ্চম শ্রেণি থেকেই সে স্কুলে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। স্কুলের শিক্ষক থেকে নিচু ক্লাসের ছাত্ররা পর্যন্ত তাকে নানা নামে ডাকে। ‘হ্যাদা মন্টু’ থেকে শুরু করে বুদ্ধিহীনতার সঙ্গে যুক্ত সব শব্দই তার জন্য বরাদ্দ ছিল। 


যাঁরা বিশিষ্ট মার্কিন লেখক জো গ্রিফতের লেখা হাউ ডিসলেক্সিক বেনি বিকেম আ স্টার: আ স্টোরি অব হোপ ফর ডিসলেক্সিক চিলড্রেন অ্যান্ড দেয়ার প্যারেন্টস বইটা পড়েছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন মন্টুকে কেন স্কুল ছাড়তে হয়েছে। ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত এই বই আসলে সফল রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী, লেখক, উপস্থাপক, প্রেরণামূলক বক্তা জো গ্রিফতের নিজেরই জীবনকাহিনি। তাঁর গল্পের বেনি-কে স্কুলে যেমন সবাই বোকারাম বলে ডাকত, জো-কেও একই নামে ডাকত সবাই। মন্টুকেও ডাকে একই কায়দায়। 


জো-এর বুদ্ধিমত্তার কোনো অভাব ছিল না, যেমন নেই আমাদের মন্টুরও। এরা লেখার সময় শব্দ ও বর্ণের ক্রম উল্টে ফেলে, হাতের লেখা খারাপ হতে পারে, সবার মতো করে শব্দ উচ্চারণ করতে পারে না, উচ্চ স্বরে পড়ার সময় উচ্চারণে সমস্যায় পড়ে, পঠিত বিষয়বস্তুর অর্থ না বোঝা ইত্যাদি। ইংরেজিতে শিশুর এই পরিস্থিতিকে ডিসলেক্সিয়া বলে, বাংলায় এই অবস্থাকে অনেকে ‘পঠন বিকার’ বলে থাকেন। 


শিশুর এই আলামত মূলত প্রাথমিক শৈশবকালীন বছরগুলোতে, বিশেষ করে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পর প্রকাশ পেতে থাকে বা জানাজানি হয়। ক্রমেই শিশুটি ক্লাসে একা হয়ে যায়। অন্যদের থেকে সে পিছিয়ে গিয়ে নিজেকে গুটিয়ে নিতে থাকে। স্কুলে দেওয়ার আগে মা-বাবারা বা অভিভাবকেরা যখন অক্ষর চেনানো বা হাতে ধরে লেখার কাজ শুরু করেন, তখনই কিন্তু শিশুর ডিসলেক্সিয়াজনিত সীমাবদ্ধতাগুলো শনাক্ত করা সম্ভব। যেমন এ ধরনের পরিস্থিতির শিশু একই রকম দেখতে অক্ষরের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। M W b d তার কাছে একই অক্ষর মনে হয়। অনেক সময় সে B লেখে উল্টো করে। এ রকম দেখলে তাকে অমনোযোগী ভেবে শাস্তির পর শাস্তি দিয়ে তার মনোবল নষ্ট করে দেওয়া ঠিক হবে না।


মনে রাখতে হবে, ডিসলেক্সিয়া একধরনের মানসিক অবস্থা মাত্র, এটা শিশুদের তথ্য বোঝার, উপলব্ধি ও ব্যবহার করার ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করে রাখে। এই সমস্যা শিশুর পড়াশোনার ওপরই প্রভাব ফেলার পাশাপাশি তার রোজকার কাজকর্ম যেমন জুতার ফিতা বাঁধা, শার্টের বোতাম তাড়াতাড়ি আটকানো ইত্যাদিকেও সমানভাবে প্রভাবিত করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us