নানারকম সিন্ডিকেট এবং ‘দায়হীন’ কর্তৃপক্ষ

সমকাল মাহবুব আজীজ প্রকাশিত: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০৩

বাজারে গিয়াছিলাম। খাসির দামে মুরগি কিনিয়া ঘরে ফিরিলাম– ষাটের দশকে দৈনিক ইত্তেফাকে কলামিস্ট মুসাফির [তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া] দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সম্পর্কে লিখতে গিয়ে এই স্মরণীয় উক্তি করেন। ষাট বছর পর সমকালের ৩১ আগস্ট, ২০২৩ তারিখের প্রধান খবরে বলা হচ্ছে, ‘দিন দশেক আগে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের খবরে বাংলাদেশের বাজারে পণ্যটির দাম বাড়ে কেজিতে ২০ টাকা। অথচ দেশে বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের ঘরে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। তুলকালাম কাণ্ড ঘটে কাঁচামরিচের বাজারেও। সরবরাহের ঘাটতির অজুহাতে প্রতি কেজি কাঁচামরিচের দাম ১০০ টাকা থেকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে হাজার টাকায় পৌঁছে।’


নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ বরাবরই এ দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে মল্লযুদ্ধ করে টিকে থাকার চেষ্টা করে। বাজারেই যায় সীমিত আয়ের অধিকাংশ, সেই বাজারদর যে হারে বাড়ে, অন্যদিকে আয় বাড়ে না– তাতে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের দিনযাপন ক্রমাগত আরও গ্লানিকর হয়।


এক কেজি কাঁচামরিচের দাম এক হাজার টাকা! আর ডিমের দাম নিয়ে বাজারে যা চলছে, তাকে সংক্ষেপে ‘লঙ্কাকাণ্ড’ বললেও কম বলা হবে। চিনি, রসুন, রুইমাছ, গরুর মাংস– কোনটার চেয়ে কোনটার দাম বাড়ার হার বেশি, তা নিয়ে গবেষণা চলতে পারে। তবে বাজারে ‘সিন্ডিকেট’ যে তাদের খেয়ালখুশিমতো পণ্যের দাম বাড়ায়, তা খালি চোখেই ধরা পড়ে। বৃহদাকার কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জোট বেঁধে পণ্যের দাম বাড়ায়, কখনও এক রাতের মধ্যে– যেমন, পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে ২০-৩০ টাকা বাড়িয়ে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষকে হতবুদ্ধি করে তোলে। আমরা জানি, এক বছর ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ, দেশের মানুষকে এক বছর হলো আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো [বিবিএস] এই হিসাব দিয়েছে। এর মধ্যে বাজারে সিন্ডিকেটের কারসাজি পুরো পরিস্থিতি অসহনীয় করে তুলেছে।


বাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কার? নিশ্চয়ই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান দায়িত্ব। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গত ২৬ জুন বাজার সিন্ডিকেট বিষয়ে সংসদে বলেন, ‘বড় গ্রুপগুলোকে জেল-জরিমানা করা যায়; কিন্তু তাতে হঠাৎ যে সংকট তৈরি হবে, তা সইতে কষ্ট হবে। তাই আলোচনার মাধ্যমে তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হয়।’ বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ পত্রিকান্তরে বলেছেন, ‘শুধু জেল-জরিমানা ও পুলিশ দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কোনো সমাধান নয়।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us