চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর শর্ত পূরণ করতে পারেনি। তারপরও বিশেষ করছাড় সুবিধা পেতে যাচ্ছে দেশি-বিদেশি ছয় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। করছাড় নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলেও শেষ পর্যন্ত নানামুখী চাপ ও অসম চুক্তির কারণে ছয় প্রতিষ্ঠানকে এই সুবিধা দিতে বাধ্য হচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
নির্ধারিত সময়ে উৎপাদনে আসতে না পারা এই ছয় বিদ্যুৎকেন্দ্র হলো বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ প্রকল্প, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১ হাজার ২২৪ মেগাওয়াটের এস এস পাওয়ার প্ল্যান্ট, কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের প্রকল্প, পটুয়াখালীতে রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল)-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিমিটেডের (আরএনপিএল) ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র, পটুয়াখালীর পায়রায় রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল) ও চীনের নরিনকো ইন্টারন্যাশনালের ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট এবং মাতারবাড়ীতে ওরিয়ন গ্রুপের ৬৩৫ মেগাওয়াট প্রকল্প।
এনবিআরের জারি করা এসআরও অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করলে আয়ের ওপর ১৫ বছর করছাড় (বাণিজ্যিক উৎপাদনের তারিখ থেকে) পাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। এ ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত বিদেশি ব্যক্তিরা আয়ের ওপর আগমনের তারিখ থেকে তিন বছর করছাড় পাবেন। একই সঙ্গে বৈদেশিক ঋণের সুদ, রয়্যালটি, বিভিন্ন ফি ও শেয়ার হস্তান্তরে মূলধনি মুনাফার ওপরও করছাড় পাবে কেন্দ্রগুলো। নিয়ম অনুযায়ী, প্রকল্পগুলোকে এখন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।