আমার এক পরিচিত বড় বোনের বাসায় গিয়েছিলাম। দেখি বুক সেলফে থরে থরে বই সাজানো। বইগুলো লাল ফিতে দিয়ে বাঁধা। তাতে আবার ধুলার আস্তর পড়ে মৌন মলিন দশা। কেন? কারণ, সেই বোনের মেয়ে পড়াশোনায় দারুণ ভালো। কোনোদিন স্কুলে দ্বিতীয় হয়নি।
প্রতিবছর প্রথম স্থান অধিকার করার জন্য বই পুরস্কার পায়। কিন্তু স্কুলের পড়াশোনার চাপ, ব্যক্তি অনীহা এবং সর্বোপরি আমার সেই পরিচিত বোনের সোজাসাপ্টা ভাষ্য—বই পড়ে নষ্ট করার মতো ফালতু সময় নেই। আগে মেডিকেলে চান্স পাক তারপর যত বাইরের বই পড়তে ইচ্ছে হবে পড়বে।
তাই ওগুলো ঠিক যেমনটি পেয়েছিল তেমনি রয়ে গেছে। পাঠককে জানিয়ে রাখি সেই মেয়ে কিন্তু সত্যিই এখন ডাক্তার। নামী স্কুল, কলেজ তারপর সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ!
আমার খুব কাছের এক শিশুর গল্প বলি। এই শিশুর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা চোখের সামনেই। মাত্র দুই আড়াই বছর বয়স থেকে ও অনর্গল কথা বলে। কঠিন কঠিন গান অবলীলায় ওর কণ্ঠ সহজে ধারণ করে। কবিতা ওর চোখে মুখে। নিজে নিজে স্ক্রিপ্ট তৈরি করে অত্যন্ত সুন্দর বাচনভঙ্গিতে সে একা একাই উপস্থাপনা করে যায়।