ভারতের হরিয়ানায় পানিতে তলিয়ে যাওয়া নিজের ধানক্ষেতের আইলে বসেছিলেন সতীশ কুমার, দুচোখ ভরা হতাশা নিয়ে তাকিয়ে ছিলেন পচে নষ্ট হয়ে যাওয়া ধানের চারার দিকে।
‘বিরাট ক্ষতির মধ্যে পড়েছি’, বলছিলেন পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের এই কৃষক, যিনি তার নতুন সংসারের আহার জোগাতে এই ধানচাষের ওপরই নির্ভর করেন।
সতীশ বলেন, “নভেম্বর পর্যন্ত আমি আর কিছুই ফলাতে পারব না।”
সিএনএন জানিয়েছে, উত্তর ভারতে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে গত জুলাই মাস থেকে নতুন লাগানো ধানের চারাগুলো ডুবে আছে পানির নিচে। ফসলের ক্ষতি ছাড়াও তীব্র বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমি ধসের ঘটনা ঘটেছে ওই অঞ্চলে।
সতীশের ভাষ্য, এমন বন্যা গত কয়েক বছরেও দেখেননি তিনি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জমি ফের চাষের জন্য ঋণ নিয়েছেন।
এই সমস্যা সতীশের একার নয়।
বিশ্বের চাল রপ্তানিতে শীর্ষ ভারত। দেশের ভেতরে চালের চড়া দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাদা চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে দেশের সরকার। এরপর চাল রপ্তানিতে আরও কিছু বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়েছে। যেমন- আধাসিদ্ধ চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এই কড়াকড়ি বিশ্বব্যাপী খাদ্য মূল্যস্ফীতির শঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। কৃষকের জীবিকাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ফলে চাল নির্ভর বেশ কয়েকটি দেশ এই নিষেধাজ্ঞা জরুরি ভিত্তিতে তুলে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে।
বিশ্বের ৩০০ কোটির বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য চাল। বিশ্বব্যাপী চাল রপ্তানির ৪০ শতাংশই করে ভারত।