চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি উদ্যোক্তা রফিকুল ইসলাম এবার ১৪ টন আম বিদেশে পাঠিয়েছেন। গত বছর তিনি আম রপ্তানি করেননি, আগের দুই বছর করেছিলেন। তবে এবারের মতো এত পরিমাণ রপ্তানি আগে কখনোই হয়নি। এ বছর রপ্তানি করা আমের জাতের মধ্যে ছিল হাঁড়িভাঙা, গৌড়মতি, আম্রপালি ও বারি-৪। আগামী বছর আরও বেশি পরিমাণ আম রপ্তানির আশা করেন জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রোহনপুরের এই উদ্যোক্তা।
বিদেশে আম রপ্তানিতে আগ্রহের একাধিক কারণ আছে বলে জানালেন রফিকুল। প্রথম আলোকে তিনি বলছিলেন, ভরা মৌসুমে আমের ফলন হয় প্রচুর, কিন্তু ক্রেতা থাকেন কম। অন্তত ২০ ভাগ আম খামারির বাগানেই নষ্ট হয়। তখন সেই আম রপ্তানির কাজে লাগানো গেলে ভালো। আবার বিদেশে আম রপ্তানিতে আর্থিক লাভও বেশি।
আম হয়তো নষ্টই হয়ে যেত, সেটা কাজে লাগানো যাচ্ছে। আবার ভালো পয়সাও মিলছে, বলেন রফিকুল ইসলাম। দুটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এবার আম বিদেশে পাঠিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে একটি হলো এমবিবি অ্যাগ্রো লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বদরুদ্দোজা সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে থাকেন।