২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। দিনটি ছিল শুক্রবার, সাপ্তাহিক ছুটির দিন। বাংলাদেশ ব্যাংক বন্ধ হলেও অল্প কয়েকজন কিছু সময়ের জন্য আসেন। এ রকমই একজন জুবায়ের বিন হুদা। এসে দেখলেন প্রিন্টার কাজ করছে না। কারিগরি সমস্যা মনে করে চলে গেলেন। অন্যরা এলেন পরদিন শনিবার।
বিকল্প পথে প্রিন্টার চালু করা হলো। তখনই পাওয়া গেল প্রায় এক বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলার হস্তান্তরের অনুরোধ জানানো সব চিঠি। ছড়িয়ে পড়ল আতঙ্ক।
ঠিক এভাবেই শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা নিয়ে বানানো প্রামাণ্যচিত্র বিলিয়ন ডলার হাইস্ট। আর এর মাধ্যমে সাত বছর পরে আবারও আলোচনায় এল বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমস, লন্ডনভিত্তিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ও দ্য গার্ডিয়ান-এর মতো প্রভাবশালী গণমাধ্যম এই প্রামাণ্যচিত্রের পর্যালোচনাও ছেপেছে।
ফলে মামলার ক্ষতি হবে বলে বাংলাদেশ বিষয়টি যতই লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করুক, এ নিয়ে আলোচনা অব্যাহতই আছে। কেননা এটাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল চুরির ঘটনা। আর যেভাবে অর্থ চুরি হয়েছে, তা যেকোনো থ্রিলার সিনেমার চেয়ে কম উত্তেজনাপূর্ণ নয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সাল পিকচার্স ও জিএফসি ফিল্মের ব্যানারে প্রামাণ্যচিত্রটি পরিচালনা করেছেন ডেনিয়েল গর্ডন, যা মুক্তি পেয়েছে ১৪ আগস্ট। পুরো প্রামাণ্যচিত্রেই থ্রিলার দেখার অনুভূতি পাওয়া যাবে।