একই দিনে পাঁচ তারকার জন্মদিন; এমন দিন শুধু ব্যতিক্রমই না, বিরলও বটে। আর আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সেই বিরলতম দিন; যে দিন পৃথিবীতে এসেছেন ঢাকাই শোবিজের পাঁচ তারকা। যারা নিজ নিজ কাজে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছেন।
তারা হলেন- ফজলুর রহমান বাবু, মোশাররফ করিম, রুমানা রশিদ ঈশিতা, ডলি সায়ন্তনী ও সুনেরাহ বিনতে কামাল। বিশেষ দিনে ভক্ত-অনুসারীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন তারা। উপভোগ করছেন পারিবারিক উদযাপন। জন্মতিথির সুবাদে তাদের ক্যারিয়ারে খানিক নজর দেওয়া যাক…
ফজলুর রহমান বাবু
জীবনের ৬৩তম বছরে পা রাখলেন এ অভিনেতা। ১৯৬০ সালের এই দিনে ফরিদপুরে তার জন্ম। আশির দশকের গোড়া থেকেই অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত। ব্যাংকের চাকরি করলেও অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা এই ভুবনে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ধীরে ধীরে নিজেকে বিকশিত করেন সাবলীল অভিনয়ে। ১৯৯১ সালে ‘মৃত্যুক্ষুধা’ নাটকের মাধ্যমে টিভিতে অভিষেক হয় তার। এরপর থেকে এখন অব্দি বোকাবাক্সের নিয়মিত শিল্পী তিনি। এর পাশাপাশি সিনেমা ও ওয়েব কনটেন্টেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তার অভিনীত সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘মনপুরা’, ‘অজ্ঞাতনামা’, ‘হালদা’, ‘নোনা জলের কাব্য’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ইত্যাদি। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে একবার এবং শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা হিসেবে একবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন বাবু।
মোশাররফ করিম
দেশের অভিনয় জগতের প্রভাবশালী তারকা তিনি। একেবারে শূন্য থেকে চূড়ায় উঠেছেন। ১৯৭১ সালের ২২ আগস্ট বরিশালে তার জন্ম। স্কুল জীবনেই অভিনয়ে জড়িয়ে পড়েন। তবে ঢাকায় এসে টেলিভিশনে জায়গা করে নিতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে ‘অতিথি’ নাটকে ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিষেক। তবে পরিচিতি পান ২০০৬ সালের ‘ক্যারাম’ নাটক দিয়ে। এরপর ক্রমাগত উত্থান। অসংখ্য নাটক, টেলিফিল্ম ও ধারাবাহিকে অভিনয় করে নিজেকে অনন্য প্রমাণ করেন। পাশাপাশি সিনেমায়ও ছড়িয়েছেন অভিনয়ের দ্যুতি। তাকে দেখা গেছে ‘অজ্ঞাতনামা’, ‘টেলিভিশন’, ‘জয়যাত্রা’, ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’, ‘প্রজাপতি’, ‘জালালের গল্প’, ‘হালদা’, ‘ডিকশনারি’, ‘মুখোশ’ ইত্যাদি সিনেমায়। এছাড়া ওটিটির উত্থানে তার অভিনীত ‘মহানগর’ সিরিজ রেখেছে অন্যতম ভূমিকা।
রুমানা রশীদ ঈশিতা
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারিণী তিনি। জন্ম ১৯৮১ সালের ২২ আগস্ট। একেবারে ছোটবেলায় বিটিভির ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পেয়েছিলেন পুরস্কার। বড় হওয়ার পর বিভিন্ন একক নাটক ও ধারাবাহিকে নিজেকে বিকশিত করেছেন ঈশিতা। অভিনয়ের পাশাপাশি গায়িকা ও উপস্থাপক হিসেবেও তার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। তার অভিনীত কাজের মধ্যে রয়েছে ‘আপনঘর’, ‘চক্রবলয়’, ‘তিথি’, ‘কাগজের গল্প’, ‘আমাদের গল্প’ ইত্যাদি।
ডলি সায়ন্তনী
নব্বই থেকে শূন্য দশকে তার বিপুল জনপ্রিয়তা ছিল। একের পর এক অ্যালবাম ও সিনেমার গানে বাজিমাত করেছিলেন। তার কণ্ঠের গান ঘুরেছে শ্রোতাদের মুখে মুখে। ১৯৯২ সালের ‘উত্থান পতন’ সিনেমায় গান গেয়ে তার প্লেব্যাক জীবন শুরু হয়। এরপর গান গেয়েছেন ‘কুলি’, ‘টাইগার’, ‘কে আমার বাবা’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘অনন্ত ভালোবাসা’, ‘চার সতীনের ঘর’, ‘জীবন মরণের সাথী’, ‘খোদার পরে মা’, ‘ডন নাম্বার ওয়ান’, ‘ফুল অ্যান্ড ফাইনাল’সহ বহু সিনেমায়। এছাড়া তিনি ১৫টি একক অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি শতাধিক দ্বৈত ও মিশ্র অ্যালবামেও গেয়েছেন এই গায়িকা।
সুনেরাহ বিনতে কামাল
ঢাকাই শোবিজের তরুণ এবং সম্ভাবনাময়ী অভিনেত্রী তিনি। প্রথম সিনেমা ‘ন ডরাই’ দিয়েই জিতে নিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়া তার অভিনীত ‘মশারী’ ছবিটি আন্তর্জাতিক মহলে পাচ্ছে পুরস্কার ও প্রশংসা। বর্তমানে তার অভিনীত ‘অন্তর্জাল’ সিনেমা রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। রংপুরে জন্ম নেওয়া সুনেরাহ নাচ শেখার মাধ্যমে শিল্পজগতে প্রবেশ করেন। দীর্ঘ দিন র্যাম্প মডেলিংয়ে যুক্ত থাকার পর সিনেমায় আসেন এই তরুণী।