গাছ কে না ভালোবাসে। অনেকেই কর্মব্যস্ত জীবনের মধ্যেও একটু সময় নিয়ে বাড়িতে ছোট-খাট বাগান করে থাকেন। আর অবসর সময়ে নিজের বাগানে বসে সময় পার করতে ভালোই লাগে।
তবে অনেক সময় গাছে নিয়মিত পানি দেয়াসহ পরিচর্যা করলেও মনের মতো বাগান হয় না। কয়েক দিনেই হয় গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, আর না হয় গাছগুলিতে ফুল ধরছে না।
এরকম ক্ষেত্রে গাছের স্বাস্থ্য ফেরাতে সহায়তা হতে পারে রান্নাঘরের বাতিল হওয়া কিছু উপকরণ। ভাল সার হিসাবে কাজ করতে পারে এ রকম কয়েকটি উপাদানের খোঁজ দেয়া হল,
গাছ পরিচর্যায় সবজির খোসা
আলু, পেঁয়াজ, পটল, ঝিঙে, গাজর নিয়মিত রান্নায় নানা ধরনের সবজি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর এইসব ব্যবহৃত সবজির খোসাগুলি ফেলে না দিয়ে একটি পাত্রে আলাদা করে জমিয়ে রাখুন। এই খোসা খুবই ভাল উৎকৃষ্ট সার হতে পারে গাছের জন্য।
গাছ পরিচর্যায় পুরোনো সবজি
অনেক সময় দেখা যায় কিছু সবজি পচে যাওয়ায় ব্যবহার করা হয় না অথবা ফ্রিজে রাখা দীর্ঘ দিনের কাঁচা সবজিগুলি আর রান্নায় ব্যবহার করা যায় না। সেগুলি ফেলে না দিয়ে সার তৈরির পাত্রে রেখে দিন। কিছু দিন রাখার পর এটিও ভাল সার হবে।
গাছ পরিচর্যায় কফি গুঁড়া
কফিতে নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, ফসফরাসের মতো উপাদান রয়েছে, যা গাছের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই কফির গুঁড়া সার হিসাবে সরাসরি মাটিতে দিতে পারেন। বাগান ভালোবাসেন যাঁরা, তাঁরা রীতিমতো এই কফির গুঁড়া সংগ্রহে রাখেন।
গাছ পরিচর্যায় ব্যবহৃত টি ব্যাগ ও চা পাতা
চায়ে ব্যবহৃত টি ব্যাগ গাছের সার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। চা ছাঁকার পর যে অবশিষ্ট চা পাতা পড়ে থাকে, সেটাও সার হিসাবে খুব ভাল। তবে দুধ-চায়ের পাতা হলে সেগুলি আবার গাছের গোড়ায় দিতে যাবেন না।
গাছ পরিচর্যায় ডিমের খোসা
ডিমের খোসায় রয়েছে ক্যালশিয়াম। এটি গাছের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সার তৈরির জন্য এটি খুবই উপকারী উপাদান। ভাল করে ডিমের খোসা ধুয়ে নিন, তারপর একটি মিক্সিতে গুঁড়ো করে নিন। আপনার তৈরি করে রাখা সারের সঙ্গে মিশিয়ে দিন।
গাছ পরিচর্যায় কার্ডবোর্ড বাক্স
বাড়িতে কিছু কিনে আনলে বা অনলাইনে কিছু এলেই পাওয়া যায় কার্ডবোর্ডের বাক্স। সেগুলি ফেলে না দিয়ে একটি আলাদা জায়গায় রেখে দিন। বাক্সগুলি ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে সার তৈরির পাত্রে ফেলুন। তবে বক্সে ছাপানো কালির অংশ থাকলে তা কেটে বাদ দিয়ে দিতে পারলে ভাল। সারের বেশির ভাগ উপাদানগুলি ভেজা থাকে, তাই আর্দ্রতা শুষে নেওয়ার জন্য শুকনো উপাদানেরও প্রয়োজন হয়।