চট্টগ্রাম টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানিতে ডুবে ২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে শুধু ১০ জন মারা গেছে সাতকানিয়া উপজেলায়। এসময় মহানগরসহ ১৪ উপজেলায় ঘর-বাড়ি, সকড়, ব্যবসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সব মিলিয়ে ৩০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) থেকে শুরু ভারি বর্ষণে তলিয়ে যায় নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ বেশির ভাগ এলাকা। খোদ চট্টগ্রাম সিটি মেয়রের বাড়িও ডুবেছিল টানা তিন দিন। সেই পানি চারদিন পর সোমবার (৭ আগস্ট) থেকে কমতে শুরু করে নগরে। তবে এইদিন রাতের বৃষ্টি ও পাহাড় ঢলে বিপরীত পরিস্থিতি সৃষ্ট হতে থাকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলায়।
পরেদিন মঙ্গলবার থেকে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও চন্দনাইশের ইউনিয়নগুলোর একের পর এক ঢুবে যায়। এদিক সাতকানিয়া সব এলাকায় পাহাড়ি ঢলে ভয়াবহ রূপ নেয় বন্যা। যা ওই এলাকায় মানুষ আগে কখনো দেখেনি। একেরপর পর তলিয়ে নিয়ে যায় ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। এ থেকে রক্ষা হয়নি সরকারের চলমান অগ্রাধিকারভিত্তির প্রকল্প দোহাজারী-কক্সবাজারের রেললাইনও। শুধু কি তাই! পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের গাড়ি চলাচল। যা দুদিন পর বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) থেকে স্বাভাবিক হয়।