দেশে জ্বালানির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু খনিজসম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রমে গতি নেই। অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতিতে বরং উৎপাদন কমছে। ঘাটতি মেটাতে বাধ্য হয়ে জ্বালানি আমদানিনির্ভরতা বাড়ছে সরকারের। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলোর বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল, কয়লা, গ্যাসের বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না। ফলে চাহিদা অনুসারে জ্বালানি আমদানি সম্ভব হচ্ছে না। এতে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ ও শিল্প উৎপাদন। ঝুঁকিতে পড়ছে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশীয় গ্যাস ও কয়লার উৎপাদন না বাড়লে জ্বালানি খাতে খরচ বাড়বে বৈ কমবে না। সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধান এখনও শুরু হয়নি। স্থলভাগেও গ্যাস অনুসন্ধানে বড় উদ্যোগ নেই। অদূর ভবিষ্যতে কয়লা উত্তোলন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও ক্ষীণ। ফলে আগামীতে জ্বালানি খাতের খরচ অর্থনীতির জন্য আরও বড় বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
জ্বালানির এমন দুঃসময়ে বুধবার পালিত হচ্ছে জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস। বিশেষ এই দিনে টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য বিশেষজ্ঞরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর পাশাপাশি দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধানে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।