সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ‘কোন আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যে-কোন দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করিবার এবং যে-কোন দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করিবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে।’
প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, শাস্তি দেওয়ার ছয় মাস না যেতেই ‘নবীন কর্মকর্তা’ বিবেচনায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ক্ষমা (অব্যাহতি) পেয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুন্নেছা আক্তার।
নামজারি নিয়ে অনিয়মের কারণে ফয়জুন্নেছা আক্তারের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩ (খ) বিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণের’ অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়। বিধিমালা অনুযায়ী যথাযথভাবে সব বিধিগত প্রক্রিয়া শেষে তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দুই বছরের জন্য ‘বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ’ করে, অর্থাৎ ষষ্ঠ গ্রেডে ৩৫ হাজার ৫০০-৬৭ হাজার ১০ টাকা বেতন স্কেলের নিম্ন ধাপ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা মূল বেতনে অবনমিতকরণসূচক লঘুদণ্ড দেওয়া হয় ফয়জুন্নেছাকে।