রাজধানীর মগবাজারের মীরবাগ। সেখানে রমনা রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্তিত্ব শুধু সাইনবোর্ডে। বিদ্যালয়ের জন্য কেনা পাঁচ কাঠা জমিতে গড়ে উঠেছে পুরোদস্তুর কাঁচাবাজার। বিদ্যালয়ের বেদখল জমিতে থাকা সেমিপাকা দোকানগুলো থেকে ভাড়া তুলছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
কেবল মীরবাগের এই বিদ্যালয়ের নয়, রাজধানীর আরও ২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি বেদখল হয়ে গেছে। বেদখল জমির পরিমাণ ১৭ বিঘার বেশি। ১৬টি বিদ্যালয়ের জমি দখল করেছেন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। ৫টির জমিতে পানির পাম্প করেছে ঢাকা ওয়াসা। বাকি জমি গেছে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার, বস্তি, দোকান এবং ধর্মীয় স্থাপনায়। এ ছাড়া দুটি বিদ্যালয়ের জমি নিয়ে মামলা চলছে। একটির জমির নামজারি নিয়ে জটিলতা রয়েছে।
আজকের পত্রিকার অনুসন্ধান এবং ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই চিত্র। জমি উদ্ধারে পদক্ষেপ নিতে গত জুনের মাঝামাঝি প্রতিবেদনটি ঢাকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মমতাজ বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট থানার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) প্রতিবেদন পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বিধি অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।