ডেঙ্গু এই মুহূর্তে আলোচনায় হট কেক। সামনে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যতই তাতুক না কেন, আলোচনার টেবিল তারচেয়েও তেতে, ঢের বেশি তেতে আছে ডেঙ্গু জ্বর। এখনো ষড়ঋতুর বাংলাদেশে ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হয়নি, তারপরও ভাঙছে একের পর এক রেকর্ড।
নব্বই দশকের শেষের দিকে এই দেশে ডেঙ্গুর পুনরুত্থানের পর, এতদিন পর ২০২৩ সালে, এর মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী থেকে শুরু করে একদিনে সর্বাধিক মৃত্যু—সবই আমাদের জানা-দেখা হয়ে গেছে। তার ওপর মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো এসে হাজির হয়েছে উটকো আরেক ঝামেলা।
এই দেশে এডিস মশা তার সম্ভ্রান্ত পরিচয়টি হারিয়ে বসেছে। এক সময় যে এডিস মশা তিন থেকে চার দিনের বেশি জমে থাকা পানিতে ডিম পারতো না, সেই এডিসই এখন যত্রতত্র জমে থাকা নোংরা-ময়লা পানিতেও সমানে ডিম পেরে বংশবৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
তাছাড়া ২০২৩ সালে এডিসের কেমন যেন একটা খাই-খাই ভাব! আগে তাও তো জানা ছিল যে এডিস বাড়বে ঘরের কোনো এক কোনায় জমে থাকা টলটলে পরিষ্কার, স্বচ্ছ পানিতে আর মানুষকে কামড়টা দেবে সাঁঝের বেলায় বা ইভিনিং ওয়াকে বেড়িয়ে।
এডিসের আগের সব গল্প আষাঢ়ে ঠেকেছে। এখন এডিস মশার কামড় খাওয়ার আর কোনো টাইম-টেবিল নেই। এডিস যেমন এখন বাড়তে পারে যেকোনো জায়গায়, তেমনি সেই কামড়টাও বসাতে পারে একদিনের চব্বিশটা ঘণ্টার যেকোনো সময়েই।
যত দিন গড়াচ্ছে ততই জটিল হচ্ছে ডেঙ্গু রোগ নির্ণয় আর পাশাপাশি বাড়ছে রোগের জটিলতাগুলোও। এতদিন জেনে-শিখে এসেছি একবার যদি ডেঙ্গু হয় তবে ডেঙ্গুর শক সিনড্রোমের ঝুঁকিটা থাকে পরের বছর কিংবা আরও পরে আবারও ডেঙ্গুর আক্রান্ত হলে।