ঢাকা-২ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম এবং উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় শান্তি সমাবেশ শেষে ফেরার পথে রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আহত চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন– কেরাণীগঞ্জের যুবলীগ কর্মী নোমান হোসেন রনি (৩২), স্কুলছাত্র জুবায়ের হোসেন (১৬), দিনমজুর মোবাশ্বের (২৩) ও রাজমিস্ত্রি আরিফুল ইসলাম (১৮)। তারা কেউ শঙ্কামুক্ত নন।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন মিয়া সমকালকে বলেন, ‘দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে যায়। ঘটনাটির ব্যাপারে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। হত্যা ও হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে পুলিশ।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ফটকে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে কেরাণীগঞ্জ থেকে এসেছিলেন নেতাকর্মীরা। তাদের একটি অংশ সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম এবং অপর অংশ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের নেতৃত্বে আসেন। ফেরার পথে দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানোর ঘটনা ঘটে। এতে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও পথচারীরা আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।